গাজীপুরে আটক পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্সের (আইএসআই) সক্রিয় সদস্য খালেদ মেহমুদ (৫০) পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য বাংলাদেশে অবৈধভাবে অবস্থান করে আসছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসপি মো. হারুন অর রশিদ এ দাবি করেছেন।
জেলার শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটির ইউনিলায়েন্স টেক্সটাইল কারখানা থেকে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আইএসআই সদস্য সন্দেহে খালেদ মেহমুদকে আটক করে। তিনি ওই কারখানাটিতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন।
মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘খালেদ মেহমুদ পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসের সক্রিয় কর্মী। তিনি পাকিস্তানের আইএসই ও বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে এসে ২০১৪ সাল থেকে পরিচয় গোপন করে শ্রীপুরের ইউনিলায়েন্স টেক্সটাইল কারখানায় ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদ মেহমুদ এমপ্লয়ী ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করাসহ সরকারবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আটক খালেদ মেহমুদ পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের ২৬০/বি মিল্লাত টাউনের মো. আরশাদের ছেলে।’
মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘পাকিস্তানী বিমানবাহিনীতে কর্মরত থেকে এর সদস্য হিসেবে আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ বেইজ স্থাপনা ও রাডার টেকনোলজির উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদ মেহমুদ আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি পোশাক শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি ও স্বর্ণ চোরাচালানসহ বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।’
পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘তাকে আরও কারা সহযোগিতা করেছে এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এ সব বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসবে।’
খালেদ মেহমুদের বিরুদ্ধে মামলাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।