ইরানে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদীয় নির্বাচনে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজার প্রার্থী নিবন্ধন করেছেন। দেশটির নির্বাচনি ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীর নিবন্ধন। আজ শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন থেকে এ কথা জানানো হয়।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উদারপন্থি হাসান রুহানি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। এর পরেই আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচিত পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। রুহানির সমর্থকরা আশা করছেন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তাদের দল ২৯০ আসনে জয় লাভ করবে। বর্তমানে রক্ষণশীলতার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ।
হাসান রুহানি ইরানের অভ্যন্তরীণ সামাজিক ও উদারনৈতিক রাজনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এসব কারণে তার দিকেই সমর্থকদের পাল্লা ভারি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।
পরমাণু চুক্তি এবং দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা পশ্চিামাদের অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ প্রত্যাহার হলে ইরানের অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে। ফলে রুহানি ও তার শক্তিশালী মিত্র আকবর হাশেমি রাফসানজানি আশা করছেন, সংখ্যাগরিষ্ট জনগণ তাদের পক্ষেই রায় দেবে।
প্রাক্তন দুই প্রেসিডেন্ট সংস্কারবাদী মোহাম্মদ খাতামি ও রক্ষণশীল মাহমুদ আহমেদিনেজাদের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্যও এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল ও শরীয়া বিচারিক সংস্থা প্রার্থীদের কারিগরি ও আদর্শগত বিভিন্ন দিক যাচাই-বাছাই করছে। ধারণা করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই বাদ পড়তে পারেন। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের অবশ্যই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আদর্শ ও নীতির প্রতি অনুগত থাকতে হবে। এসব না থাকলে এবং নিষিদ্ধঘোষিত কোনো দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
২০১২ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ৫ হাজার ২০০ জন প্রার্থী নিবন্ধন করলেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩ হাজার ৪০০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রসঙ্গত, দেশটির সংসদে ৮৮টি আসন ইসলামিক চিন্তাবিদদের জন্য সংরক্ষিত আছে।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স অনলাইন।