হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রক্ষপুত্র নদের পানির বৃদ্ধি, প্রবল বর্ষণ ও ওজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার সবজী চাষীরা। এতে সবজী সংকট দেখা দিবে। ঋণ করে সবজীর আবাদ করা কৃষকদের ঋণ পরিশোধ করা নিয়েও আছে দুশ্চিন্তায়। এ নিয়ে একটি ডেস্ক রিপোর্ট।
শেরপুর জেলা সবজী উৎপাদনের জন্য উল্লেখযোগ্য একটি জেলা। এ জেলার উৎপাদিত সবজী জেলার চাহিদা মিটয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চলতি বন্যায় শেরপুরের এ সবজীর আবাদই পড়েছে সবচেয়ে বেশী ক্ষতির মুখে। ব্রক্ষপুত্র নদের পানির বৃদ্ধি, প্রবল বর্ষণ ও ওজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নেই সবজীর আবাদ হয় বেশী। ফলে শাক, ঢেরস, লাউ, বেগুন, পুডল, চিংিগা, কুমোড়, শসাসহ বিভিন্ন সবজীর ক্ষেতে পানি ওঠায় এসব ক্ষেত মরে যাচ্ছে। কৃষকরা জানায় যেসব ক্ষেতে পানি ওঠেছে এসব ক্ষেত আর টিকবে না।
জেলায় এ পর্যন্ত অন্তত এক হাজার পাচঁশত একর জমির সবজীর আবাদ ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। সরকারী হিসেবে এ ক্ষতির পরিমান ৯শ একর। এদিকে কৃষকরা জানান তাদের বিভিন্ন সবজীর আবাদ করতে ঋণ করতে হয়েছে। এখন এ ঋণ তারা পরিশোধ করবে কিভাবে? করোনার কারণেও ক্ষতিগ্রস্থ হয় কৃষক। জেলার সবজী চাষীদের দাবী তাদের বিষয়ে সরকার একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
শেরপুর জেলার উল্লেখযোগ্য কৃষক সবজীর আবাদ করে থাকে। এসব কৃষকরা সবজীর আবাদ করে স্বাবলম্ভী হয়ে উঠছে। কিন্তু করোনার কারণে ও বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থ এসব কৃষক দিশেহারা। তাই জেলাবাসীর দাবী এসব ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বিষয়ে প্রনোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা হউক।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড: মুহিত কুমার দেব জানান, আমরা কৃষকদের মাঝে স্বল্পমেয়াদী সবজী চাষ করতে বীজ প্রদানসহ সহযোগিতা করবো। এ ছাড়া কিভাবে তাদের ক্ষতি পোষানো যায় এ বিষয়টিও ভাবছি।