ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভার্চুয়াল শুনানিতে হাইকোর্টে আরও দুই বেঞ্চ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
  • ২১৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আদালত বন্ধ থাকায় ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আরও দুইটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

নতুন দুই বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান। এ দুটি বেঞ্চের একটিকে জামিন আবেদনসহ ফৌজদারি মামলা এবং আরেকটিকে দেওয়ানি মামলা শুনানির এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ জুলাই) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসন শাখা।

এর আগে ১৫ জুন আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ১৩টি বেঞ্চ গঠন করার কথা জানানো হয়েছিল। তারও আগে ১১টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেদিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।

এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুইদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি চেম্বার কোর্ট এবং হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনেও সাধারণ ছুটি ছিল। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ায়নি। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল আদালত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভার্চুয়াল শুনানিতে হাইকোর্টে আরও দুই বেঞ্চ

আপডেট টাইম : ১০:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আদালত বন্ধ থাকায় ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জরুরি মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আরও দুইটি বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

নতুন দুই বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন-বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান। এ দুটি বেঞ্চের একটিকে জামিন আবেদনসহ ফৌজদারি মামলা এবং আরেকটিকে দেওয়ানি মামলা শুনানির এখতিয়ার দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ জুলাই) এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের প্রশাসন শাখা।

এর আগে ১৫ জুন আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ১৩টি বেঞ্চ গঠন করার কথা জানানো হয়েছিল। তারও আগে ১১টি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে গত ২৬ এপ্রিল ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন এবং প্রয়োজনীয় আইনগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেদিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।

এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। দুইদিন পর ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমত হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে।

পরে ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একটি চেম্বার কোর্ট এবং হাইকোর্ট বিভাগে কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আদালত অঙ্গনেও সাধারণ ছুটি ছিল। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটিরও মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ায়নি। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল আদালত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।