১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালিতে লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা করছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করা এবং পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এবারে ‘বিজয় দিবস’ ভিন্নমাত্রা নিয়ে এসেছে বলে মনে করছেন তারা। ৪৪তম বিজয় দিবস স্মরণীয় করে রাখতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিকাল ৪টার বিজয় র্যালি যেকোন মূল্যে সফল করতে সাংগঠনিক সব ধরনের তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলো।
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বিজয় র্যালি সফল করতে মহানগরীর সকল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের নিয়ে মঙ্গলবার প্রায় ২ ঘণ্টার যৌথ বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। ওই বৈঠকে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কর্মী সংখ্যার টার্গেটও দেয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের একাধিক শীর্ষ নেতারা সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রুশিদ বলেন, “এটা বলা মুশকিল। তবে নিঃসন্দেহে লাখো জনতার ঢল নামবে। বিজয় র্যালিতে ঢাকা মহানগর যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী অংশ নেবে। আশা করছি, এক থেকে দেড় লাখ জনসমাগম ঘটবে।”
বিজয় র্যালির প্রস্তুতির খোঁজ-খবর নিতে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের সব ধরনের নির্দেশনা নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বাকিটা আগামীকালই সবাই দেখতে পাবেন। র্যালিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন ছাড়াও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেবেন। এছাড়া সাধারণ জনগণকে আকৃষ্ট করতে সকলকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ এমপি বলেন, “বিজয় দিবস আমাদের কাছে সব সময় গৌরবের। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর এবারের বিজয় দিবসটি বেশ গুরুত্বের। জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এখন সারা বিশ্বে সমাদৃত। সে কারণেই বিজয় র্যালিতে লাখো নয়, তার চেয়ে বেশি জনতার সমাগম হবে।”
আওয়ামী লীগের দফতর সূত্রে জানা যায়, বিজয় র্যালি শুধু রাজধানীতে নয়, বরং সারাদেশে বের হবে। আর এজন্য দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নির্দেশ ও আহ্বান জানিয়েছেন। যেটা এরই মধ্যে সারাদেশের নেতাকর্মীদের জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “এবারের বিজয় দিবস আমাদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীর দায় ও কলঙ্ক মোচন হয়েছে। একই সাথে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে কারণেই আমরা এবারে বিজয় দিবসের র্যালিটি স্মরণীয় করতে চায়।”