ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা মোকাবেলা কৃষিতে বড় প্রকল্প নিতে মন্ত্রীর নির্দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০
  • ২৪৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিতে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। বুধবার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক অনলাইন সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রী সভায় অংশ নেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, করোনার মহাদুর্যোগের প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে হলে কৃষি খাতে বাস্তবধর্মী সমন্বিত বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কৃষিই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এ সময় অর্থনীতির যত ক্ষতিই হোক, ঘরে খাবার থাকলে অন্তত জীবনটা বাঁচানো যাবে। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় করোনার প্রকোপের শুরু থেকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছেন। ফলে এ দুর্যোগের সময়ও কৃষিতে সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। শস্যের উদ্ভাবিত জাত বা প্রযুক্তি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি বা জাত উদ্ভাবন করে ফেলে রাখলেই চলবে না। পরিকল্পনা গ্রহণ করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় মন্ত্রী লবণসহিষ্ণু ধানের জাতকে অতিদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বর্তমান অর্থবছরে মে পর্যন্ত অর্জিত জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বেশি হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধী। এসব প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৬৩.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ অর্থবছরে মে পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত হয়েছে ১২৮৯.৫৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৭৩ শতাংশ এবং ১০৪২.৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এটি বরাদ্দের ৫৯ শতাংশ। এছাড়া করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বসতবাড়ি ও অনাবাদি পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সবজি ও ফল চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি শিগগিরই অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন সাইট ‘হটেক্সবাজারবিডি.কম’ উদ্বোধন: কৃষিপণ্যের রফতানির সুযোগ বৃদ্ধি, মানসম্পন্ন সবজি ও ফলমূলের বাজার উন্নয়ন, করোনা পরিস্থিতিতে সতেজ পণ্য ক্রয়ে ভোক্তাশ্রেণি সৃষ্টি, সঠিক বাজারজাত ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে অনলাইন মার্কেট সাইট ‘হটেক্সবাজারবিডি.কম’ (hortexbayarbd.com) উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, এমপি। বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ সাইট উদ্বোধন করা হয়। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

করোনা মোকাবেলা কৃষিতে বড় প্রকল্প নিতে মন্ত্রীর নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০২:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিতে বড় ধরনের প্রকল্প গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। বুধবার মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনাবিষয়ক অনলাইন সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সরকারি বাসভবন থেকে মন্ত্রী সভায় অংশ নেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, করোনার মহাদুর্যোগের প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে হলে কৃষি খাতে বাস্তবধর্মী সমন্বিত বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। কৃষিই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। এ সময় অর্থনীতির যত ক্ষতিই হোক, ঘরে খাবার থাকলে অন্তত জীবনটা বাঁচানো যাবে। আর সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি মন্ত্রণালয় করোনার প্রকোপের শুরু থেকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছেন। ফলে এ দুর্যোগের সময়ও কৃষিতে সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। শস্যের উদ্ভাবিত জাত বা প্রযুক্তি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি বা জাত উদ্ভাবন করে ফেলে রাখলেই চলবে না। পরিকল্পনা গ্রহণ করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এ সময় মন্ত্রী লবণসহিষ্ণু ধানের জাতকে অতিদ্রুত দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, বর্তমান অর্থবছরে মে পর্যন্ত অর্জিত জাতীয় গড় অগ্রগতির চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি বেশি হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৭৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধী। এসব প্রকল্পের অনুকূলে ১৭৬৩.৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এ অর্থবছরে মে পর্যন্ত অর্থ অবমুক্ত হয়েছে ১২৮৯.৫৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৭৩ শতাংশ এবং ১০৪২.৫৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এটি বরাদ্দের ৫৯ শতাংশ। এছাড়া করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে বসতবাড়ি ও অনাবাদি পতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সবজি ও ফল চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি শিগগিরই অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন সাইট ‘হটেক্সবাজারবিডি.কম’ উদ্বোধন: কৃষিপণ্যের রফতানির সুযোগ বৃদ্ধি, মানসম্পন্ন সবজি ও ফলমূলের বাজার উন্নয়ন, করোনা পরিস্থিতিতে সতেজ পণ্য ক্রয়ে ভোক্তাশ্রেণি সৃষ্টি, সঠিক বাজারজাত ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে অনলাইন মার্কেট সাইট ‘হটেক্সবাজারবিডি.কম’ (hortexbayarbd.com) উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, এমপি। বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ সাইট উদ্বোধন করা হয়। এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।