ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা মদনের এ.ইউ.খান উচ্চ বিদ্যালয়কে কারণ দর্শানোর নোটিশ মদনে এক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য

করোনায় আক্রান্ত বেতন ছাড়াই ছুটিতে বিমানের ৯০ শতাংশ কর্মী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে চারটি বাদে আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, উড়োজাহাজ সচল রাখতে রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে দেশি বিমান সংস্থাগুলোকে।

এদিকে অভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী না থাকায় তিন মাসের জন্য সব ফ্লাইট বন্ধ করে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। উড়োজাহাজ অলস বসে থাকায় সিংহভাগ কর্মীকে ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানও।
অস্তিত্ব বাঁচাতে সরকারের কাছে বিমানবন্দরের সব ধরনের চার্জ মওকুফসহ বিনা সুদে ঋণ চেয়েছে বিমানসংস্থাগুলো।
সাধারণত কোনো উড়োজাহাজ বিকল হলে কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকাংশ দেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ২২৬টির পরিবর্তে বর্তমানে শুধু যুক্তরাজ্যের লণ্ডন ও ম্যানচেষ্টারে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট চলছে বিমানের। অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট হাতেগোনা। ফলে ১৮টি উড়োজাহাজের মধ্যে অলস এখন ১৭টি।
এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে না পড়ায় উড়োজাহাজ সচল রাখার বিশাল ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় প্রকৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছাড়া ৯০ ভাগ কর্মীকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন বলেন, ফ্লাইট নেই। তাই যাদের প্রয়োজন নেই তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তেল খরচ কমলেও অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে।
এদিকে সঙ্কটে থাকা বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত। নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ ৫টি আন্তর্জাতিক রুট। যাত্রী নেই অভ্যন্তরীণ রুটেও। আয় না থাকায় ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছে সংস্থাটি।
৮টি আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে ৭টিই বন্ধ ইউএস বাংলার। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট কমেছে নভোএয়ারের। বিরূপ পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সরকারের সহযোগিতা চায় বিমান সংস্থাগুলো।
রিজেন্ট এয়াররের উপদেষ্টা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবধরনের চার্জ এখনো বহাল আছ। ৭৫ শতাংশ লোককে বেতন ছাড়াই ছুটি দিয়ে দিতে হবে। আমাদের চার্জ ও ট্যাক্সগুলো মওকুফ করা হোক।
আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রতিদিন ১৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করলেও বর্তমানে মাত্র ছয় থেকে ৮টি ফ্লাইট ওঠানামা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটেও ১৪৪টি থেকে ফ্লাইট কমে ৮০টিতে দাঁড়িয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

করোনায় আক্রান্ত বেতন ছাড়াই ছুটিতে বিমানের ৯০ শতাংশ কর্মী

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের কারণে চারটি বাদে আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ থাকায় শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, উড়োজাহাজ সচল রাখতে রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে দেশি বিমান সংস্থাগুলোকে।

এদিকে অভ্যন্তরীণ রুটেও যাত্রী না থাকায় তিন মাসের জন্য সব ফ্লাইট বন্ধ করে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। উড়োজাহাজ অলস বসে থাকায় সিংহভাগ কর্মীকে ছুটি দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানও।
অস্তিত্ব বাঁচাতে সরকারের কাছে বিমানবন্দরের সব ধরনের চার্জ মওকুফসহ বিনা সুদে ঋণ চেয়েছে বিমানসংস্থাগুলো।
সাধারণত কোনো উড়োজাহাজ বিকল হলে কিংবা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকাংশ দেশ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ২২৬টির পরিবর্তে বর্তমানে শুধু যুক্তরাজ্যের লণ্ডন ও ম্যানচেষ্টারে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট চলছে বিমানের। অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট হাতেগোনা। ফলে ১৮টি উড়োজাহাজের মধ্যে অলস এখন ১৭টি।
এর আগে কখনো এমন পরিস্থিতিতে না পড়ায় উড়োজাহাজ সচল রাখার বিশাল ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় প্রকৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছাড়া ৯০ ভাগ কর্মীকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
বিমানের এমডি মোকাব্বের হোসেন বলেন, ফ্লাইট নেই। তাই যাদের প্রয়োজন নেই তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তেল খরচ কমলেও অন্যান্য খরচ বেড়ে গেছে।
এদিকে সঙ্কটে থাকা বেসরকারি বিমান সংস্থা রিজেন্ট করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত। নিষেধাজ্ঞার কারণে বন্ধ ৫টি আন্তর্জাতিক রুট। যাত্রী নেই অভ্যন্তরীণ রুটেও। আয় না থাকায় ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়ে কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটি দিয়েছে সংস্থাটি।
৮টি আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে ৭টিই বন্ধ ইউএস বাংলার। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট কমেছে নভোএয়ারের। বিরূপ পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সরকারের সহযোগিতা চায় বিমান সংস্থাগুলো।
রিজেন্ট এয়াররের উপদেষ্টা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবধরনের চার্জ এখনো বহাল আছ। ৭৫ শতাংশ লোককে বেতন ছাড়াই ছুটি দিয়ে দিতে হবে। আমাদের চার্জ ও ট্যাক্সগুলো মওকুফ করা হোক।
আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রতিদিন ১৩০টি ফ্লাইট ওঠানামা করলেও বর্তমানে মাত্র ছয় থেকে ৮টি ফ্লাইট ওঠানামা করছে। অভ্যন্তরীণ রুটেও ১৪৪টি থেকে ফ্লাইট কমে ৮০টিতে দাঁড়িয়েছে।