কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য শোধনাগারে রক্ষা পাবে স্থানীয় ১০হাজার হেক্টর জমির ফসল। এর সঙ্গে রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক মাছ ও জলজ প্রাণী।
ইপিজেড সূত্র জানায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেডের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ২৩৯টি প্লট রয়েছে। কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ করেছে চীন, তাইওয়ান, ফ্রান্স, হংকং, মরিশাস, নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা। নিয়মিত উৎপাদনে থাকা ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ ১৯টিতে, যৌথ বিনিয়োগ ৮টিতে এবং দেশি বিনিয়োগ ১০টি প্রতিষ্ঠানে।
এখানে প্রথম থেকে বর্জ্য শোধনাগার না থাকায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছিলো। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রতিদিন এ প্লান্টে ১৫০০০ঘনমিটার তরল বর্জ্য শোধন করা যায়। শোধনাগারের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে সিগমা ইঞ্জিনিয়ারিং।
সিগমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ম্যানেজার অপারেশন নাফিজ আল মাহমুদ বলেন, ‘বায়োলজিক্যাল পদ্ধতিতে এখানে বর্জ্য পরিশোধন করা হয়। ব্যাকটোরিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংস করা হয়। যার কারণে শোধিত পানি ফসল কিংবা জলজ প্রাণীর ক্ষতি করতে পারে না।’
আগামী ২৫ মে কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই শোধনাগারের কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) মহা-ব্যবস্থাপকের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আলমগীরসহ একটি টিম কুমিল্লা ইপিজেড পরিদর্শন করে গেছেন।
কুমিল্লা ইপিজেডের জিএম মো. আবদুস সোবহান বলেন, ‘গত বছর থেকে কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে।’