একাত্তরে গণহত্যার দায় অস্বীকার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ ও এখতিয়ার বহির্ভূত মন্তব্য করার প্রতিবাদে লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে ওই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচি থেকে পাকিস্তান সরকারকে তাদের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ জন্য লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনের মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রপতি বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
স্মারকলিপিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্তান সরকারকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ-চেষ্টা থেকে পাকিস্তানকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নিজস্ব ব্যাপারে অন্য রাষ্ট্রের নাক গলানোর এখতিয়ার যে নেই, এ বিষয়ে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক আইনের কথাও পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালে বাংলার মুক্তিকামী জনতার বিরুদ্ধে যেসব পাকিস্তানি অপরাধ-কর্মে লিপ্ত ছিল, তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে বাংলাদেশ সরকারকে পাকিস্তানের সহযোগিতা করা উচিত। একই সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের উচিত তার দেশে অবস্থানরত অপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়া।
ঘেরাও কর্মসূচিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যখন কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তখন পাকিস্তান তার প্রতিবাদ করে। এতে প্রমাণ হয়, দণ্ডপ্রাপ্ত এসব অপরাধী শুধু একাত্তর সালে নয়, গত চার দশকের বেশি সময় ধরে তারা স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, পাকিস্তান পরাজিত শক্তি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার তাদের নেই।সুলতান মাহমুদ শরীফের নেতৃত্বে ওই ঘেরাও কর্মসূচিতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।