ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত মদনে প্রাণিসম্পদের উদ্যোগে মোরগ ও ছাগলের খাদ্য বিতরণ ইটনায় সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত মদনে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গল বিদ্যালয় প্রাঙ্গন দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন শিক্ষক রাজধানীতে পার্বত্য জেলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিপনী বিতান উদ্বোধন করেন: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী সীমান্ত সড়ক পশ্চাদপদ পার্বত্য অঞ্চলকে উন্নয়নের স্রোতধারায় একীভূত করেছে মদন উপজেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সায়েম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মদনে ফের বয়রাহালা ব্রীজের এপ্রোচ দখল করে ঘর নির্মাণ মদনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৃষককে হত্যার চেষ্টা

অবশেষে দেশে ফিরছে হবিগঞ্জের দুই প্রবাসীর মরদেহ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • ১৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৃত্যুর ২৩ দিন পর অবশেষে দেশে আসছে হবিগঞ্জের দুই লেবানন প্রবাসীর মরদেহ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মরদেহ দুটি বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহ্ জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত মোজাম্মেল মিয়ার বড়ভাই জাফর উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার ভাই মোজাম্মেলের কফিল (মালিক) আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন তিনি মরদেহগুলো পাঠানোর সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। তার কথামতো আমরা এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মরদেহগুলো ঢাকা এসে পৌঁছার কথা।

তিনি আরো বলেন, মরদেহগুলো আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। শনিবার সকালে আমরা বাড়িতে ফিরতে পারব।

তবে ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান মরদেহ দেশে ফেরার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে আজ বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

প্রায় আড়াই বছর পূর্বে জীবিকার তাগিতে লেবানন যান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া। এরপর তিনি লেবাননের ‘শুর’ জেলার দুর্গম ‘হারিফ’ গ্রামের লায়লা ইব্রাহীমের বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ নেন। ছয় মাস পর সেখানে যোগদেন একই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল মিয়া। আব্দুল্লাহ মিয়া ও মোজাম্মেল মিয়া সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হওয়ায় সেখানে একই রুমে থাকতেন তারা।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে খাবার শেষে শীত নিবারণের জন্য দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি স্টিলের বাটিতে কয়লা জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। পরদিন বুধবার দুপুরে তাদের রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেন বাড়ির মালিক। বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে রুম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে অক্সিজেন শূণ্যতা ও কয়লার কালো ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়েই তাদের মৃত্যু হয়। মৃত প্রবাসী শ্রমিক আব্দুল্লাহ মিয়ার দুই ছেলে ও একটি মেয়ের জনক এবং মোজাম্মেল মিয়া অবিবাহিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বিদ্যমান সেবা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

অবশেষে দেশে ফিরছে হবিগঞ্জের দুই প্রবাসীর মরদেহ

আপডেট টাইম : ১০:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৃত্যুর ২৩ দিন পর অবশেষে দেশে আসছে হবিগঞ্জের দুই লেবানন প্রবাসীর মরদেহ। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মরদেহ দুটি বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহ্ জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত মোজাম্মেল মিয়ার বড়ভাই জাফর উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার ভাই মোজাম্মেলের কফিল (মালিক) আমাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন তিনি মরদেহগুলো পাঠানোর সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছেন। তার কথামতো আমরা এখন ঢাকায় অবস্থান করছি। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মরদেহগুলো ঢাকা এসে পৌঁছার কথা।

তিনি আরো বলেন, মরদেহগুলো আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। শনিবার সকালে আমরা বাড়িতে ফিরতে পারব।

তবে ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান মরদেহ দেশে ফেরার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তবে আজ বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

প্রায় আড়াই বছর পূর্বে জীবিকার তাগিতে লেবানন যান হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের সিদ্দিক আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া। এরপর তিনি লেবাননের ‘শুর’ জেলার দুর্গম ‘হারিফ’ গ্রামের লায়লা ইব্রাহীমের বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ নেন। ছয় মাস পর সেখানে যোগদেন একই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল মিয়া। আব্দুল্লাহ মিয়া ও মোজাম্মেল মিয়া সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা হওয়ায় সেখানে একই রুমে থাকতেন তারা।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে খাবার শেষে শীত নিবারণের জন্য দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি স্টিলের বাটিতে কয়লা জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। পরদিন বুধবার দুপুরে তাদের রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে উঠেন বাড়ির মালিক। বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে রুম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে অক্সিজেন শূণ্যতা ও কয়লার কালো ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়েই তাদের মৃত্যু হয়। মৃত প্রবাসী শ্রমিক আব্দুল্লাহ মিয়ার দুই ছেলে ও একটি মেয়ের জনক এবং মোজাম্মেল মিয়া অবিবাহিত ছিলেন।