ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫
  • ২৯৯ বার

জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঘাঘট নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমের কাঠের সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার সাতগিরি গ্রাম ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর উপর শনিবার দুপুরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছেন এলাকাবাসী।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম জানান, বামনডাঙ্গার সাতগিরি ও ইমাদপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম নদীর মধ্যে দিয়ে হাঁটা গেলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে দুই গ্রামের লোকজনকে ৩৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

সাতগিরি গ্রামের সাবেক শিক্ষক ও সমাজসেবক মজিবর রহমান মাস্টার জানান, দুই এলাকার লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে ঘাঘট নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমে ১৮০ ফুট কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেতটিু নির্মাণ হলে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বল্প সময়ে বিভাগীয় শহর রংপুরসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর ও বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সেতু নির্মাণে স্থানীয় সাধারণ মানুষ শ্রম ও অর্থের যোগান দিয়ে আসছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গাইবান্ধায় স্বেচ্ছাশ্রমে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু

আপডেট টাইম : ০৬:২৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মে ২০১৫

জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ঘাঘট নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমের কাঠের সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গার সাতগিরি গ্রাম ও রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ইমাদপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর উপর শনিবার দুপুরে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছেন এলাকাবাসী।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম জানান, বামনডাঙ্গার সাতগিরি ও ইমাদপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম নদীর মধ্যে দিয়ে হাঁটা গেলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে দুই গ্রামের লোকজনকে ৩৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।

সাতগিরি গ্রামের সাবেক শিক্ষক ও সমাজসেবক মজিবর রহমান মাস্টার জানান, দুই এলাকার লোকজনের সহযোগিতা নিয়ে ঘাঘট নদীর উপর স্বেচ্ছাশ্রমে ১৮০ ফুট কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেতটিু নির্মাণ হলে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ স্বল্প সময়ে বিভাগীয় শহর রংপুরসহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহর ও বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সেতু নির্মাণে স্থানীয় সাধারণ মানুষ শ্রম ও অর্থের যোগান দিয়ে আসছেন।