ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে বর্তমানে চূড়ান্ত ভোটার প্রায় ১১ কোটি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে বর্তমানে চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২জন। নতুন ভোটার  বেড়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ জন। আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ভোটার দিবসে অনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। চূড়ান্ত এই ভোটার তালিকা থেকে ২০১৯ সালে মৃত্যুজনিত কারণ, দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা কারণে রিভাইজিং অথরিটি অথরিটির কর্তৃক মোট ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০।

দেশে মোট পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২জন। প্রথম বারের মত ৩৬০ জন হিজড়াকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের আয়োজিত ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের নানা বিষয় তুলে ধরেন। পরে নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির প্রক্রিয়া, সংশোধন ও নানা তথ্য সংবলিত একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আইনন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন নির্ভুল ভোটার তালিকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে কেউ যেন অবৈধ ভাবে ভাটার হতে এবং রোহিঙ্গা বা অন্য কোন দেশের নাগরিক যেন ভোটার না হতে পারে সে জন্য সজাগ থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

পরে ২০১৯ সালে হালনাগাদের মাধ্যমে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান অতিথি আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। পর্যাক্রমে সকল ভোটারদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

এর আগে সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও কমিশনারবৃন্দ। শোভাযাত্রাতে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইডিইএ ও ইভিএম প্রকল্পের সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল সারা দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে হালনাগার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারীতে জন্ম নেওয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মত প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোনো রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত রোহিঙ্গা তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশে বর্তমানে চূড়ান্ত ভোটার প্রায় ১১ কোটি

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে বর্তমানে চূড়ান্ত ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২জন। নতুন ভোটার  বেড়েছে ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ জন। আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ভোটার দিবসে অনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। চূড়ান্ত এই ভোটার তালিকা থেকে ২০১৯ সালে মৃত্যুজনিত কারণ, দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা কারণে রিভাইজিং অথরিটি অথরিটির কর্তৃক মোট ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হয়েছে ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০।

দেশে মোট পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২জন। প্রথম বারের মত ৩৬০ জন হিজড়াকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের আয়োজিত ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তথ্য চিত্রের মাধ্যমে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের নানা বিষয় তুলে ধরেন। পরে নতুন ভোটার অন্তর্ভূক্তির প্রক্রিয়া, সংশোধন ও নানা তথ্য সংবলিত একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আইনন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন নির্ভুল ভোটার তালিকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে কেউ যেন অবৈধ ভাবে ভাটার হতে এবং রোহিঙ্গা বা অন্য কোন দেশের নাগরিক যেন ভোটার না হতে পারে সে জন্য সজাগ থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

পরে ২০১৯ সালে হালনাগাদের মাধ্যমে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান অতিথি আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। পর্যাক্রমে সকল ভোটারদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।

এর আগে সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও কমিশনারবৃন্দ। শোভাযাত্রাতে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইডিইএ ও ইভিএম প্রকল্পের সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা অংশ গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল সারা দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে হালনাগার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারীতে জন্ম নেওয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মত প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোনো রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত রোহিঙ্গা তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।