হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকার দিলু রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছেলে, স্ত্রীর পর শহিদুল কিরমানী রনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। চার দিন আগে পাঁচতলা ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান রনি (৩৯)।
বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রনি শরীরের ৪৩ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
রনির স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৪) রোববার সকালে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আর অগ্নিকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার ভোরে ওই ভবনের সিঁড়ি থেকে তাদের সন্তান এ কে এম রুশদির লাশ উদ্ধার করা হয়।
রনি হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজায় ‘ভিআইভিপি এস্টেট ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি কোম্পানির ফাইন্যান্স ম্যানেজার ছিলেন। আর তার স্ত্রী জান্নাত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের অর্থ বিভাগে চাকরি করতেন। তাদের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের ইটনায়।
রাজধানীর ইস্কাটনের একটি আবাসিক ভবনে বৃহস্পতিবার ভোরে আগুন লেগে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়, দগ্ধ ও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন পাঁচজন। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় ইস্কাটনের দিলু রোডে ওই ভবনের গ্যারেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেদিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর শিশু রুশদিসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন।