হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আবারো তিন হাজার ৩০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আড়াই বছর পর রোববার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উঠলো। এই রিজার্ভ দিয়ে ৮ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়নে এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অংক গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৪৯ কোটি ৮৪ লাখ (১২.৫০ বিলিয়ন) ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ৪১ কোটি (১০.৪১ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ার কারণে রিজার্ভ এই উচ্চতায় উঠেছে বলে মনে করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় কমায় রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
২০১৭ সালের ২২ জুন রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। মাস দুয়েকের মধ্যে তা আরো বেড়ে ৩৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারে উঠে। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে আসে। এর আড়াই বছর পর রোববার সেই রিজার্ভ আবারো ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশের পণ্য রফতানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ। একইভাবে প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে আমদানি ব্যয় কমেছে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ।