হাওর বার্তা ডেস্কঃ অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। দেশে মুক্তবুদ্ধির চর্চা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় যারা সবসময়ই সোচ্চার ও সক্রিয় আনিসুজ্জামান তাদের অন্যতম। ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
পড়াশোনা করে কলকাতা, খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন স্কুলে। জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের একজন সদস্য ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ।
দেশে শিক্ষার বিস্তার ও মানোন্নয়নে তার দেওয়া সুপারিশ ও প্রস্তাব বিভিন্ন সরকার গ্রহণ করেছে। দেশ-বিদেশে নানা গবেষণা কর্মে জড়িত থাকার পর ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত হন এবং ২০০৩ সালে অবসর নেন, তবে অবসরের পর থেকেই তিনি ‘প্রফেসর এমিরেটাস’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় অধ্যাপক এবং বাংলা একাডেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন পাশাপাশি অন্য দেশ থেকেও সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।