হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সর্বশেষ ২২ জনের ডিএনএ টেস্ট করে ১৯ জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য জানান। চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর পর গতকাল বুধবার এ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
সোহেল মাহমুদ জানান, এখনো তিনজনের মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। কেউ দাবিদার থাকলে স্বজনদের ডিএনএ এর নমুনা দিয়ে যান। এসব নমুনা ও মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের সামনে একটি পিকআপের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট সাড়ে চার ঘণ্টার মতো কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভয়াবহ ওই ঘটনা সবাইকে নাড়া দিয়েছিল।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন ৭১ জন। এর মধ্যে ময়নাতদন্ত ছাড়াই চারজনের লাশ গ্রহণ করেন পরিবারের সদস্যরা। বাকি ৬৭ জনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বাকি ২২ জনের ডিএনএ এর নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল। স্বজনদের দেওয়া নমুনার সঙ্গে মরদেহের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করে ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়। কিন্তু বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। এজন্য ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে দেরি হয়েছে। এ ছাড়াও টিমের অনেকে বদলি হয়েছেন। গত সপ্তাহে ফরেনসিক বিভাগ এ ডিএনএ রিপোর্ট পায়। এরপর প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এখন যে কোনো সময় পুলিশের হাতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হবে।