মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ঘাঁটি লক্ষ্য করে সিরিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সামরিক অভিযানের অনুমতি দেওয়ার পরপরই এ হামলা শুরু করা হয়েছে বলে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সাইপ্রাসে যুক্তরাজ্যের বিমানঘাঁটি ‘আরএএফ অ্যাক্রোটিরি’ থেকে চারটি যুদ্ধবিমান উড়াল দিয়েছে। পরবর্তীতে ওই বিমানগুলো সিরিয়ায় হামলায় অংশ নিয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলো ছাড়াও ঘাঁটিতে আরো চারটি যুদ্ধবিমান ‘প্রস্তুত’ রাখা হয়েছে। তবে সিরিয়ায় এ হামলায় ড্রোন ব্যবহারের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটেন।
বুধবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর বিমান হামলা চালাতে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের দেয়া প্রস্তাবের উপর ১০ ঘণ্টা আলোচনা হয়। এরপর ভোটাভুটিতে হামলার পক্ষে মত দেন ৩৯৭ জন এমপি। এছাড়া এর বিপক্ষে ভোট পড়ে ২২৩টি।
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও তার দলের এমপিদের স্বাধীনভাবে ভোট দেয়ার সুযোগ দেন। ফলে লেবার পার্টির ৬৬ জন এমপি বিমান হামলার পক্ষে ভোট দেয়। প্রস্তাবটি পার্লামেন্টে পাস হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিমান হামলা শুরু করে ব্রিটেন।
britain
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইপ্রাসের বিমানঘাঁটি থেকে উড়াল দেয়া ওই চারটি যুদ্ধবিমানের মধ্যে দুটি বিমান হামলায় অংশ নেয়ার তিন ঘণ্টা পর স্বল্প সময়ের জন্য পুনরায় ঘাঁটিতে ফিরে এসেছিল। তবে বৃহস্পতিবার আরো পরের দিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে প্রত্যাশা করেছে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়।
বুধবার বিট্রিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, আইএস আগে থেকেই যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি ছিল। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই তিউনিসিয়ার সমুদ্র সৈকতে হামলার পর থেকে ব্রিটেনে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পরিকল্পনা করে আসছে আইএস। তিনি বলেন, গত বছর আমাদের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ব্রিটেনে আইএসের হামলার সাতটি পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে।
আরো ৭০ হাজার মডারেট এফএসএ যোদ্ধা পশ্চিমাবিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ক্যামেরন।