ঢাকা ০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসুন শান্তির পথে চলি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের জীবন-মান অনেক বদলে গেছে। গত শতকে পৃথিবীর যে অবস্থা ছিল, তার বিবরণ কেবল এখন বইয়ের পাতায় পাওয়া যায়। এখনকার জীবন-বোধ ও বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। প্রাচীন সেই দৃশ্যপটগুলো বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় অনেক সময়।

মানুষ আর্থসামাজিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। উন্নতি ও উৎকর্ষতার স্বর্ণ শিখরে বিচরণ করছে। গোটা পৃথিবী এখন মানুষের করতলগত। হাতের নাগালে। আকাশ ছোঁয়া বাড়ি হয়েছে, কোটি টাকার গাড়ি হয়েছে, সবকিছুতে নতুনত্ব ও আধুনিকতা এসেছে। চলাফেরায় আভিজাত্য ও ভিন্নতা এসেছে।

এতদসত্তেও মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। শান্তি ও আত্মতৃপ্তির স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি।

মিলিয়ন ডলারের স্তুপ গড়া হয়েছে, তেল,স্বর্ণের খনি উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু শান্তি নামক সুখ পাখি কেনা যায়নি। আসলে কেনা সম্ভবও না। কারণ টাকা দিয়ে সব কেনা যায়। কিন্তু, সুখ কেনা যায় না।

সুখ,শান্তি,সফলতা হলো,আল্লাহ প্রদত্ত জিনিস। এখানে টাকা আর ক্ষমতার প্রাচুর্যতা নিষ্ক্রিয়। মূল্যহীন। আমরা ভুল পথে হেঁটেছি, হাঁটছি। শান্তি পাওয়া যায় যেখানে,সেখানে না খুঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি অন্যখানে। ফলে দিকভ্রান্ত অবস্থায় অপদস্থ ও লাঞ্চিতই হয়েছি। এরচেয়ে মহৎ কিছু অর্জন করতে পারিনি।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের কাছে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এসেছে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চায় এর দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবেন এবং অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনবেন নিজের ইচ্ছেমত। আর তাদের দেখাবেন সরল পথ। (সূরা মাইদা (৫) : ১৫-১৬)

খুব ভোরে যিনি ঘুম থেকে উঠেন, ভালোভাবে অজু করে ফজরের নামাজ পড়েন, তাকে কখনও কি জিজ্ঞেস করেছেন, সবাই যখন ঘুমে বিভোর থাকে, তখন তিনি কেন এতো কষ্টকরে আরামের বিছানা দূরে সরিয়ে দিয়ে অজু করে নামাজ আদায় করেন?

এটা কি শুধু তার প্রভুর অলঙ্ঘনীয় নির্দেশের কারণেই? মোটেও না। কারণ, একজন মুসলমান নামাজের মাঝে যে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি খুঁজে পায়, তা অন্য কিছুতে পায় না।

যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, অন্য মানুষের থেকে তার মাঝে বহুবিধ পার্থক্য দৃশ্যমান। যা কম আর বেশি, সবাই বুঝতেও পারে। একারণেই নামাজি ব্যক্তি নামাজ পড়ে তার প্রভুকে খুশি করার জন্য এবং প্রভূত কল্যাণ ও শান্তি অর্জনের জন্য।

নামাজি ব্যক্তির সারাদিন ভালো কাটে। সময় এবং কাজে বরকত হয়। আয়-রোজগারে প্রবৃদ্ধি ঘটে। সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে। সালাম করে। ভূয়সী প্রশংসার পাত্র হয় সে।

শুধু নামাজ নয়, ইসলামের প্রতিটি বিধানই এমন। কোনো না কোনো উপকার তাতে অবশ্যই আছে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে অজু করা, প্রত্যহ গোসল করা, এশার নামাজের পরে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং অতি প্রত্যুষে জেগে ওঠা, দাড়ি রাখা, মোচ ছোটো করে রাখা, প্রত্যেক সপ্তাহে নখ কাটা, হজ্ব করা, যাকাত প্রদান করা, রোজা রাখা, সত্য বলা, মিথ্যা থেকে বিরত থাকা, ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ না করা, মোটকথা ইসলামের একটি বিধানও এমন পাওয়া যাবে না, যা অনর্থক বা মানবকল্যাণ বহির্ভূত।

ইসলাম চাপাচাপি বা বাড়াবাড়ির ধর্মও না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানুষকে তার সাধ্যাতীত বিষয়ে আদেশ করা হয় না।’

ইসলাম গতানুগতিক কিংবা অন্য আর দশটা ধর্মেরমত কোনো ধর্মমতও নয়। বরং ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আজ আমি তোমাদের দ্বীন-ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতকে (কোরআন) পূর্ণতা প্রদান করলাম আর তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনীত করলাম। (সুরা: মায়েদা ৫/৩)

হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাকে যেই প্রত্যাদেশ দিয়েছেন, তা আমিও তোমাদের দিয়েছি, আর যে কাজ থেকে তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে আমিও তোমাদের নিষেধ করেছি।

এ ধর্মে যেমন ব্যক্তি পরিচালনার কথা আছে, তেমন আছে রাষ্ট্র পরিচালনার কথাও। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, কাকে কতোটুকু সম্মান করতে হবে, কার প্রতি কতোটুকু খরচ করতে হবে, এসবকিছুই আছে ইসলামে।

মক্কার কাফেররা এ কথা বলে হাসাহাসি করতো, ‘দেখ, মোহাম্মদ তার সঙ্গী-সাথীকে প্রাকৃতিক কর্ম কীভাবে করতে হয় তাও শেখায়!’

হ্যাঁ, জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সুবিধা অসুবিধা, সবকিছুর উপায় উপকরণ ও সমাধান রয়েছে ইসলামে ।

অতএব, যার জীবনে ইসলাম যতোটুকু বাস্তবায়িত হবে, তিনি ততো ভালো ও পরিপূর্ণ মোমিন।

মানুষের আপদ-বিপদ আসতেই পারে। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা মূলত বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তার ঈমানকে যাচাই করেন। তাকে মহা শান্তির জায়গা জান্নাতের উপযুক্ত বানান।

আল্লাহ তায়ালা নিজেই বিপদগ্রস্থ করেন এবং কীভাবে সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা-ও বিবৃত করেছেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য কামনা কর।

কখনও মুসিবতগ্রস্থ হলে প্রাথমিক কাজ হবে হতাশ না হয়ে ধৈর্যধারণ করা। অতঃপর দু’রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে আপতিত বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা করা। এর মাধ্যমে ঈমান যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বিপদ থেকেও মুক্তি মিলে। শুধু তা-ই নয় অসংখ্য সওয়াবও লাভ হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা (২) : ২০৮)

তাই আসুন আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামকে বাস্তবায়ন করি। দুনিয়া ও পরকালে প্রভূত কল্যাণ এবং শান্তি অর্জন করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আসুন শান্তির পথে চলি

আপডেট টাইম : ০১:১৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মানুষের জীবন-মান অনেক বদলে গেছে। গত শতকে পৃথিবীর যে অবস্থা ছিল, তার বিবরণ কেবল এখন বইয়ের পাতায় পাওয়া যায়। এখনকার জীবন-বোধ ও বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। প্রাচীন সেই দৃশ্যপটগুলো বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় অনেক সময়।

মানুষ আর্থসামাজিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছে। উন্নতি ও উৎকর্ষতার স্বর্ণ শিখরে বিচরণ করছে। গোটা পৃথিবী এখন মানুষের করতলগত। হাতের নাগালে। আকাশ ছোঁয়া বাড়ি হয়েছে, কোটি টাকার গাড়ি হয়েছে, সবকিছুতে নতুনত্ব ও আধুনিকতা এসেছে। চলাফেরায় আভিজাত্য ও ভিন্নতা এসেছে।

এতদসত্তেও মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। শান্তি ও আত্মতৃপ্তির স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি।

মিলিয়ন ডলারের স্তুপ গড়া হয়েছে, তেল,স্বর্ণের খনি উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু শান্তি নামক সুখ পাখি কেনা যায়নি। আসলে কেনা সম্ভবও না। কারণ টাকা দিয়ে সব কেনা যায়। কিন্তু, সুখ কেনা যায় না।

সুখ,শান্তি,সফলতা হলো,আল্লাহ প্রদত্ত জিনিস। এখানে টাকা আর ক্ষমতার প্রাচুর্যতা নিষ্ক্রিয়। মূল্যহীন। আমরা ভুল পথে হেঁটেছি, হাঁটছি। শান্তি পাওয়া যায় যেখানে,সেখানে না খুঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি অন্যখানে। ফলে দিকভ্রান্ত অবস্থায় অপদস্থ ও লাঞ্চিতই হয়েছি। এরচেয়ে মহৎ কিছু অর্জন করতে পারিনি।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের কাছে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে এসেছে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে চায় এর দ্বারা তিনি তাদের শান্তির পথে পরিচালিত করবেন এবং অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনবেন নিজের ইচ্ছেমত। আর তাদের দেখাবেন সরল পথ। (সূরা মাইদা (৫) : ১৫-১৬)

খুব ভোরে যিনি ঘুম থেকে উঠেন, ভালোভাবে অজু করে ফজরের নামাজ পড়েন, তাকে কখনও কি জিজ্ঞেস করেছেন, সবাই যখন ঘুমে বিভোর থাকে, তখন তিনি কেন এতো কষ্টকরে আরামের বিছানা দূরে সরিয়ে দিয়ে অজু করে নামাজ আদায় করেন?

এটা কি শুধু তার প্রভুর অলঙ্ঘনীয় নির্দেশের কারণেই? মোটেও না। কারণ, একজন মুসলমান নামাজের মাঝে যে প্রশান্তি ও আত্মতৃপ্তি খুঁজে পায়, তা অন্য কিছুতে পায় না।

যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, অন্য মানুষের থেকে তার মাঝে বহুবিধ পার্থক্য দৃশ্যমান। যা কম আর বেশি, সবাই বুঝতেও পারে। একারণেই নামাজি ব্যক্তি নামাজ পড়ে তার প্রভুকে খুশি করার জন্য এবং প্রভূত কল্যাণ ও শান্তি অর্জনের জন্য।

নামাজি ব্যক্তির সারাদিন ভালো কাটে। সময় এবং কাজে বরকত হয়। আয়-রোজগারে প্রবৃদ্ধি ঘটে। সবাই তাকে শ্রদ্ধা করে। সালাম করে। ভূয়সী প্রশংসার পাত্র হয় সে।

শুধু নামাজ নয়, ইসলামের প্রতিটি বিধানই এমন। কোনো না কোনো উপকার তাতে অবশ্যই আছে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে অজু করা, প্রত্যহ গোসল করা, এশার নামাজের পরে তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং অতি প্রত্যুষে জেগে ওঠা, দাড়ি রাখা, মোচ ছোটো করে রাখা, প্রত্যেক সপ্তাহে নখ কাটা, হজ্ব করা, যাকাত প্রদান করা, রোজা রাখা, সত্য বলা, মিথ্যা থেকে বিরত থাকা, ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ না করা, মোটকথা ইসলামের একটি বিধানও এমন পাওয়া যাবে না, যা অনর্থক বা মানবকল্যাণ বহির্ভূত।

ইসলাম চাপাচাপি বা বাড়াবাড়ির ধর্মও না। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানুষকে তার সাধ্যাতীত বিষয়ে আদেশ করা হয় না।’

ইসলাম গতানুগতিক কিংবা অন্য আর দশটা ধর্মেরমত কোনো ধর্মমতও নয়। বরং ইসলাম হলো পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, আজ আমি তোমাদের দ্বীন-ধর্মকে পরিপূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামতকে (কোরআন) পূর্ণতা প্রদান করলাম আর তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে ইসলামকে মনোনীত করলাম। (সুরা: মায়েদা ৫/৩)

হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা আমাকে যেই প্রত্যাদেশ দিয়েছেন, তা আমিও তোমাদের দিয়েছি, আর যে কাজ থেকে তিনি আমাকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে আমিও তোমাদের নিষেধ করেছি।

এ ধর্মে যেমন ব্যক্তি পরিচালনার কথা আছে, তেমন আছে রাষ্ট্র পরিচালনার কথাও। কার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে, কাকে কতোটুকু সম্মান করতে হবে, কার প্রতি কতোটুকু খরচ করতে হবে, এসবকিছুই আছে ইসলামে।

মক্কার কাফেররা এ কথা বলে হাসাহাসি করতো, ‘দেখ, মোহাম্মদ তার সঙ্গী-সাথীকে প্রাকৃতিক কর্ম কীভাবে করতে হয় তাও শেখায়!’

হ্যাঁ, জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সুবিধা অসুবিধা, সবকিছুর উপায় উপকরণ ও সমাধান রয়েছে ইসলামে ।

অতএব, যার জীবনে ইসলাম যতোটুকু বাস্তবায়িত হবে, তিনি ততো ভালো ও পরিপূর্ণ মোমিন।

মানুষের আপদ-বিপদ আসতেই পারে। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা মূলত বান্দাকে পরীক্ষা করেন। তার ঈমানকে যাচাই করেন। তাকে মহা শান্তির জায়গা জান্নাতের উপযুক্ত বানান।

আল্লাহ তায়ালা নিজেই বিপদগ্রস্থ করেন এবং কীভাবে সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা-ও বিবৃত করেছেন।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য কামনা কর।

কখনও মুসিবতগ্রস্থ হলে প্রাথমিক কাজ হবে হতাশ না হয়ে ধৈর্যধারণ করা। অতঃপর দু’রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে আপতিত বিপদ থেকে উদ্ধার কামনা করা। এর মাধ্যমে ঈমান যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বিপদ থেকেও মুক্তি মিলে। শুধু তা-ই নয় অসংখ্য সওয়াবও লাভ হবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, তোমরা সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা (২) : ২০৮)

তাই আসুন আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামকে বাস্তবায়ন করি। দুনিয়া ও পরকালে প্রভূত কল্যাণ এবং শান্তি অর্জন করি।