যদিও এটি নিয়ে বিতর্কও কম নেই। ইতিমধ্যে এই খেলাকে যৌন উত্তেজক, নারী বিদ্বেষী এবং ভুল বলে অভিহিত করা হয়েছে।
বিকিনি পরিহিত শিক্ষার্থীরা জেলি ভর্তি এক পুলে লাফালাফি-দাপাদাপি করে বেড়াবে। ঐহিত্যগত এই খেলাটি পুনরায় ফিরে আসছে ১৪ জুন। তবে প্রথমবারের মতো কেমব্রিজ নারীদের এই কুস্তি খেলায় পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি দিতে যাচ্ছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কুখ্যাত পানীয় সমাজ তাদের গ্রীষ্মকালীন উদ্যান পার্টিতে পুনরায় নারীদের সঙ্গে জেলি কুস্তি খেলার পরিচয় করিয়ে দেয়। তবে এটি সেসময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
সাধারণত জেলি ভর্তি একটি পুলের মধ্যে শিক্ষার্থীরা কুস্তিতে মেতে উঠে। দুবছর আগেই এই খেলার বিরুদ্ধে এক হাজার ১৭৪জনের স্বাক্ষরিত এক পিটিশনে এটিকে যৌন উত্তেজক, নারী বিদ্বেষী এবং অনুচিত বলে মন্তব্য করা হয়।’
এদিকে ম্যাগডালেন্স কলেজভিত্তিক শুধুমাত্র পুরুষদের মদ্যপান ক্লাব ঘোষণা করেছে যে ১৪জুন অনুষ্ঠিত ৮৬তম উদ্যান পার্টিতে পুনরায় এই কুস্তির আয়োজন করা হবে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে কুখ্যাত মদ্যপান ক্লাব এটি। ম্যাগডালেনের শিক্ষাথীরা যারা যেকোনো কলেজ স্পোটর্সে কমপক্ষে দুবার এই দলের পক্ষে খেলেছেন এমন যে কেউ এই দলের সদস্য হতে পারেন।
যে রবিবারে এই কুস্তি অনুষ্ঠিত হয় তাকে ‘আত্মঘাতী রবিবার’ বলেও উল্লেখ করা হয়। কারণ পরীক্ষার পর ওই রবিবারে অনেক শিক্ষার্থীকেই জোর করে নিমর্ম এই কুস্তিতে হাজির করা হয়।
তবে ওই ক্লাবের সদস্যরা এটিকে অশালীন বা কুরুচিপূর্ণ বলতে নারাজ। তারা এটিকে খেলা হিসেবেই দেখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
ক্লাবের এক মুখপাত্র ব্লগে লেখেন, ‘জেলি কুস্তি খেলা সস্তা কিছু নয়। এটি শুধুমাত্র বিকিনি পরিহিত নারীরা নিজেদের মধ্যে কুস্তিতে মেতেছেন এটি দেখার কোনো সুযোগ নয়।’
তবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী পত্রিকায় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই খেলার মূল আকর্ষণ বিকিনি পরিহিত নারীর শরীর। এটি মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট করে।’