ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামাজ ভেঙে দেওয়া যখন জায়েজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • ২১২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ প্রতিটি মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। নামাজ যেকোনো অবস্থায় পড়তে হয়। অসুস্থ হলে শোয়া অবস্থায় নামাজ আদায়ের সুযোগ রেখেছে ইসলাম। তবে অনেক সময় নামাজ কিছু সময়ের জন্য ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরন রয়েছে। সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

শরিয়ত সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া নামাজ আদায়কারীর জন্য নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ নেই। (সুরা মুহাম্মদ,  আয়াত : ৩৩)

আপন মা-বাবা ডেকে থাকলে, নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ আছে। (বুখারি, হাদিস : ৪/৪০৪)

নামাজ আদায়কারী নামাজে থাকাকালীন যদি লক্ষ করে, কোনো অন্ধ কূপ অথবা কোনো গর্তের কাছে চলে যাচ্ছে এবং এতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৫)

নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি কাউকে চুরি হতে দেখেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তবে চুরি করা জিনিস ন্যূনতম এক দিরহাম সমপরিমাণ মূল্যের হতে হবে। জিনিসটি নামাজ আদায়কারী অথবা অন্য কারও হলেও নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৪/৪১২)

কেউ ব্যক্তি নামাজ আদায় করছেন, এমন অবস্থায় যদি কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি নামাজ আদায়কারীর প্রতি সাহায্যের আবেদন করে আওয়াজ করেন; আর নামাজ আদায়কারী যদি মনে করেন তাকে জুলুম-অত্যাচার থেকে বাঁচাতে পারবেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৫)

সফররত ব্যক্তি যদি চোরের ভয়ে শঙ্কিত হন, তবে নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৩)

অনুরূপভাবে ফিকাহবিদরা বলেন, সফররত ব্যক্তি নামাজে থাকাকালীন যদি যানবাহন ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন নামাজ ভেঙে দিতে পারবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নামাজ ভেঙে দেওয়া যখন জায়েজ

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ প্রতিটি মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। নামাজ যেকোনো অবস্থায় পড়তে হয়। অসুস্থ হলে শোয়া অবস্থায় নামাজ আদায়ের সুযোগ রেখেছে ইসলাম। তবে অনেক সময় নামাজ কিছু সময়ের জন্য ছেড়ে দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরন রয়েছে। সেগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

শরিয়ত সমর্থিত কোনো অপারগতা ছাড়া নামাজ আদায়কারীর জন্য নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ নেই। (সুরা মুহাম্মদ,  আয়াত : ৩৩)

আপন মা-বাবা ডেকে থাকলে, নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ আছে। (বুখারি, হাদিস : ৪/৪০৪)

নামাজ আদায়কারী নামাজে থাকাকালীন যদি লক্ষ করে, কোনো অন্ধ কূপ অথবা কোনো গর্তের কাছে চলে যাচ্ছে এবং এতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাহলে নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৫)

নামাজ আদায়কারী ব্যক্তি যদি কাউকে চুরি হতে দেখেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। তবে চুরি করা জিনিস ন্যূনতম এক দিরহাম সমপরিমাণ মূল্যের হতে হবে। জিনিসটি নামাজ আদায়কারী অথবা অন্য কারও হলেও নামাজ ভেঙে দেওয়া জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৪/৪১২)

কেউ ব্যক্তি নামাজ আদায় করছেন, এমন অবস্থায় যদি কোনো নির্যাতিত ব্যক্তি নামাজ আদায়কারীর প্রতি সাহায্যের আবেদন করে আওয়াজ করেন; আর নামাজ আদায়কারী যদি মনে করেন তাকে জুলুম-অত্যাচার থেকে বাঁচাতে পারবেন, তখন নামাজ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৫)

সফররত ব্যক্তি যদি চোরের ভয়ে শঙ্কিত হন, তবে নামাজ বিলম্ব করা জায়েজ। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৩)

অনুরূপভাবে ফিকাহবিদরা বলেন, সফররত ব্যক্তি নামাজে থাকাকালীন যদি যানবাহন ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তখন নামাজ ভেঙে দিতে পারবেন।