হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। বলেছেন মনডার মাঝে শান্তি লাগে হাওরের হাসপাতালের সামনে এম্বোলেন্স দাড়ানো। তিনি আরো বলেন,
অন্তত ভাটি এলাকার মানুষের মাঝে গতি এনে দিতে পারেছি, আমার এলাকার হাওরের মানুষ আর বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, কোন প্রসতি মা বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না । আমার কাছে যেটা মনে হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি না হলে সে এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন , ১৯৯৬ যখন আমার পিতা যখন আওয়ামীলীগ হয় মূলত তখন থেকে হাওরের উন্নয়ন শুরু হয় । আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না আসলে হাওরের উন্নয়নের ছোয়া লাগে না।
কিশোরগঞ্জে হাওর অঞ্চলবাসীর কেন্দ্রীয় ইউনিট ও পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ পরম এর যৌথ আয়োজনে নদী, হাওর ও পরিবেশ বিষয়ক কারিগরি সেমিনার অনুষ্টানে এসব কথা বলেন।
মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদী পুনরুদ্ধার : জনপ্রত্যাশা ও বাস্তবতা এবং হাওর অঞ্চলের চলমান ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পরিবেশগত সুরক্ষাকে প্রতিপাদ্য বিষয় করে ৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার, পৌর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা হতে দিনব্যাপী এই কারিগরি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ ৪-আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
দিনব্যাপী কারিগরি সেমিনার অধিবেশনে, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেমিনার প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান, অনুপম মাহমুদ, ড. সৈয়দ আলী আযহার, সৈয়দ হাসিবুদ্দিন হোসেন, কাস্মির রেজা ও অধ্যাপক মোতাহার হোসেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর আব্দুল গনি মিয়া, বিএমএর কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব বাদল, বিশিষ্ট সাংবাদিক আহমেদ ফরিদ, শিল্পী আবুল কালাম, নাট্যব্যক্তিত্ব হারুন-আল-রশিদ, পরিবেশ রক্ষা মঞ্চের সদস্য প্রদীপ কুমার বর্মন, সাজ্জাদ হোসেন, আলমগীর হোসেন, আব্দুল আউয়াল, হাবিবুর রহমান, তানজিনা নাজনিন ও আবু শামস মজুমদার সহ জেলার তেরটি উপজেলা হতে আগত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ।
মুক্ত আলোচনায় বক্তাগন বলেন, নরসুন্দা নদীর নাব্যতা ও প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হোসেনপুর উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদীর কাওনা বাধ ভেঙ্গে পরিকল্পিতভাবে ব্রীজ নির্মান করার দাবী জানান, সেইসাথে শহরের নরসুন্দায় দখলকৃত সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নিজস্ব গতিধারা বজায় রাখতে খনন কাজের উর্দৃত মাটি অন্যত্র সরিয়ে তার গতিপথ সুগম করার পরামর্শ প্রদান করেন।
পরে আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দ ও জেলার ১৩ টি উপজেলা হতে আগত নদী,হাওর ও পরিবেশবাদীগণ নরসুন্দার তীরে মানব-বন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।