হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন : আমি আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করেছি, যাতে কোনো বক্রতা নেই, হয়তবা তারা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারবে। (সূরা যুমার : আয়াত ২৮)। বস্তুত আল কোরআন আল্লাহপাকের নিদর্শন, প্রকাশ্য মু’জিযা। বিভিন্ন দিক ও বিচার বিশ্লেষণে যেমন : শব্দ চয়ন, ছন্দের পরিপাটি, মূলভাব প্রকাশে অলঙ্কার শাস্ত্রের অপরূপ প্রয়োগ, আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের আদেশ ও প্রদত্ত সংবাদসমূহ তথা আল্লাহর নামসমূহ, গুণাবলি, ফিরিশতামন্ডলী, অদৃশ্যের সংবাদ পরিবেশন, চাই তা অতীতের হোক বা ভবিষ্যতের, ইত্যাদি দিক হতে আল কোরআন আল্লাহপাকের কালাম হওয়ার প্রকাশ্য দলিল। (শরহে আকীদায়ে সিফারানিয়্যাহ : পৃ. ১৫২)।
উর্ধ্ব জগত হতে অবতীর্ণ সকল কিতাব ও সহীফাসমূহ সত্য। যদিও পরবর্তীতে লোকেরা এগুলোকে পরিবর্তন করেছে। সুতরাং বর্তমানে কোরআনুল কারীম ব্যতীত অন্য কোনো আসমানি কিতাব নিজের মৌলিক, সঠিক ও অবিকৃত অবস্থায় বিদ্যমান নেই। এ সম্পর্কে আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে : ক. যারা আপনার প্রতি, আপনার পূর্বে নবীদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবে বিশ্বাস রাখে। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ৪)। খ. কাফিরগণ যিকর তথা কোরআন অস্বীকার করে বসল, অথচ তা তাদের সামনে আসল কিতাব ছিল। অবশ্যই তা মহা গৌরবান্বিত কিতাব, তার সামনে ও পেছন থেকে কোনো ভ্রান্তি আগমন করতে পারে না। প্রজ্ঞাময় প্রশংসিত সত্তার নিকট হতে এটা অবতারিত। (সূরা ফুসসিলাত : আয়াত ৪১-৪২)।
মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির পথ প্রদর্শন হেদায়েতের নিমিত্তে ছোট বড় অনেক গ্রন্থ নবী ও রাসূলগণের ওপর অবতীর্ণ করেছেন। যাতে মানুষের আকীদা ও আমল সঠিক হতে পারে এবং আল্লাহর পছন্দনীয় জীবন পদ্ধতির ওপর চলতে পারে। অকাট্য দলিল ও নিদর্শন দ্বারা প্রমাণিত সকল কিতাব ও সহীফার ওপর ঈমান আনয়ন করা ফরজ বা অত্যাবশ্যক। তার অস্বীকৃতি দ্বারা মানুষ ইসলামের সীমারেখা হতে বহিষ্কৃত হয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : তারাই মুমিন যারা আপনার ওপর নাযিলকৃত ও আপনার পূর্বে নাযিলকৃত আসমানি কিতাবসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করে। আর তারা আখেরাতের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। (সূরা বাকারাহ : আয়াত ৪)।