যাচ্ছে নারী ফুটবল লিগ আলোর মুখ দেখতে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জানুয়ারির শেষ দিন থেকে নারীদের ফুটবল লিগ মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও এখন সেটা পিছিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। নতুন সূচি অনুযায়ী ৮ দলের ডাবল লেগ পদ্ধতির লিগ অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুর বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মহিলা উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সূত্রে নারী লিগ শুরুর নতুন তারিখ জানা গেছে। ক্লাবগুলোর অনুরোধেই লিগ পেছানো হয়েছে বলে দাবি বাফুফের।

প্রায় ৭ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে নারীদের এই আসর। দীর্ঘদিন পর লিগ মাঠে গড়ানোর স্বস্তি থাকলেও অনেক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, জাতীয় দলের অন্যতম মুখ মার্জিয়া আক্তার, শামসুন্নাহার জুনিয়রসহ বয়সভিত্তিক ফুটবলের একঝাঁক প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারের দল না পাওয়া।

ঢাকার ২ সিটি নির্বাচনের অজুহাতে নির্দিষ্ট সময়ে লিগ মাঠে গড়াতে পারেনি। ফিফা কাউন্সিলের সদস্য ও বাফুফে মহিলা উইং কমিটির চেয়ারম্যান কিরণ রবিবার বলেছেন, ‘আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে লিগ শুরু হবে। একটা মাঠেই খেলা হবে। হোম এন্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে এখনই লিগ শুরু করা কঠিন। সেই পর্যায়ে দলগুলো এখনো যায়নি। আমরা একটা সময়ে সেই পর্যায়ে যাব। তখন হোম ও অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে খেলা হবে।’

এবারের আয়োজন দায়সারাভাবে হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দায়সারাভাবে হচ্ছে না। আপনাদের হয়ত তা মনে হতে পারে। লিগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দায়সারাভাবে কেন করব? এটা একসময় পেশাদার রূপ নেবে। আমরা সেটার জন্য কষ্ট করে যাচ্ছি।’

২০১১ ও ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত দুটি লিগের শিরোপাধারী শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং আবাহনী লিমিটেড এবার অংশই নিচ্ছে না। আগের দুটি লিগেই রানার্সআপ মোহামেডানও নেই। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব শুরুতে আগ্রহ দেখালেও পরে সরে দাঁড়ায়। অন্য স্বীকৃত দলগুলোও আগ্রহ দেখায়নি এই লিগ নিয়ে। প্রিমিয়ার লিগের দল হিসেবে শুধুমাত্র বসুন্ধরা ছাড়া অন্য কেউ অংশ নিচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে মাহফুজা আক্তারের অসহায় সুর, ‘আমরা সবাইকে এই লিগ খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেভাবে কেউ সাড়া দেয়নি। এখন তারা খেলতে না এলে আমাদের কী করার আছে। আমরা তো সবরকম চেষ্টা করেছি।’

তবে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তা আনোয়ারুল করিম বলেন অন্য কথা, ‘মেয়েদের লিগ নিয়ে বাফুফে থেকে সেভাবে আমাদের বলা হয়নি। যদি লিগে অংশগ্রহণটা বাধ্যতামূলক হতো তাহলে হয়ত খেলতাম। এছাড়া আমাদের ছেলেদের দল চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তাই অন্য লিগে খেলা কঠিন।’

ওদিকে বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান অন্যদের অংশ না নেয়া নিয়ে বলেন, ‘আমার সুপারিশ বা মতামত যেটাই বলেন আমি বলব, বাফুফের উচিত এটা বাধ্যতামূলক করে দেয়া, প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোকে খেলতেই হবে।’

এবারের লিগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি যোগ করেন, ‘শেষ মুহূর্তে দুয়েকটি ক্লাব নাম প্রত্যাহার করায় অনেকে দল পায়নি। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা দল পায়নি এটা দুঃখজনক ঘটনা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর