প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠকটি শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ চাইছে, উপজেলার ভোট থেকে যেন মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়রা সরে যান, কিন্তু এমন প্রার্থীর সংখ্যা খুবই কম। সারা দেশে ৪৭৫টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু মূল সমস্যাঅনুগত প্রার্থীতে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় প্রার্থী নিয়ে মিডিয়ায় অনেক আলোচনা হয়েছে।
দেশে মোট ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে। এর মধ্যে চার ধাপে ৪৭৫ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৮ উপজেলায় আগামী ৮ মে ভোট হবে। এই ধাপের নির্বাচনের প্রচার চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন এক হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী। এ ধাপে বান্দরবানের দুই উপজেলার ভোট বন্ধ ঘোষণা হয়েছে।
মূলত নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার কৌশল নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এতে করে ভোটের মাঠে যেমন প্রার্থী বেশি দরকার, তেমনি নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকেই নিরপেক্ষ করা দরকার বলে মনে করছে সরকার। ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৪৭৫ উপজেলার মধ্যে মন্ত্রী-এমপির প্রার্থী খুবই অল্প হবে বলে ধারণা করছে আওয়ামী লীগ। তাই মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রেখেই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করা সম্ভব হবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে উপজেলার ভোটে আত্মীয় প্রার্থীদের অংশ না নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কে কার প্রার্থী, কোন প্রার্থী কোন নেতার কেমন আত্মীয়, সেটি জানতে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সাংগঠনিক নেতাদের একটি তালিকা করতে বলা হয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তালিকা আমাদের কাছে আছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যদি তালিকা নিয়ে কথা তোলেন তাহলে আমরা সে তালিকা উপস্থাপন করতে পারব।’