হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমি যে সব দামি ঘড়ি পরি তা আমার নিজের নয় সবই বিভিন্ন মানুষ ও কর্মীদের উপহার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, এমনিকি দামী সুটও নিজের কেনা না। হয়তো আমাকে অনেকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে যারা বিদেশে থাকে। তারা দেশে আসার সময় একটা স্যুট নিয়ে আসে। এই তো, গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে আমার জন্য তিনটা কটি বানিয়ে এনেছে। এখন আপনি যদি নিয়ে এসে আমাকে গিফট করেন, তাহলে আমি কী করবো?
উপহারের সঙ্গে সড়কের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানান, আমার সঙ্গে কোনো কন্ট্রাক্টরের বৈঠকও হয় না। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো, তাদের এখানে বসতেও দেই না। যেটা হতো অতীতে, এখন হয় না। আমার এখানে কোনো প্রমোশনের জন্য তদবির হয় না। পরবর্তী চিফ ইঞ্জিনিয়ার যিনি হবেন, তার মাত্র ১০ দিন সময় আছে অবসরে যাওয়ার। তাকেও চিফ ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছি কয়েকদিন আগে। সেখানে ১০ দিন পর নতুন লোক আসবে। আগে তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার পদে যাওয়া মানে বিশাল ব্যাপার। এসব তো আপনারা শুনতেন, এগুলো অজানা থাকতো না। আর কন্ট্রাক্টররা নির্বাচনের সময় একটা অ্যামাউন্ট দিতে চেয়েছিল। আমি সরাসরি না করে দিয়েছি। আমাকে নির্বাচনের জন্য টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজে দিয়েছেন। আমার কারও থেকে টাকা নিতে হয়নি।
সুইডেনভিত্তিক অনলাইন নেটত্রা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলেছিল, ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যে দামি সাতটি ঘড়ি ব্যবহার করেন তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আল জাজিরায় গত ২ জানুয়ারি প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে নেটত্রাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিষয়টি আজই প্রথম শুনলাম।