ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করা যাবে না

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩০৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মুমিন মুসলমানের জন্য জুমআ নামাজ বিশেষ ইবাদত। জুমআর দিন ও জুমআর নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ দান করেন। যে নেয়ামত ও অনুগ্রহে বান্দার মর্যাদা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমআর নামাজ পড়া জরুরি।

যারা অলসতাবশত জুমআর নামাজ থেকে বিরত থাকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের জন্য রয়েছে মারাত্মক শাস্তির ঘোষণা। আর যারা জুমআর নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে শুধু কাজ-কর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখে, আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান না।

জুমআর নামাজ না পড়লে তাদের শাস্তি ভয়াবহ। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
‘যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহ তাআলা মোহর মেরে দেন, তার অন্তরে হেদায়েতের নূর প্রবেশ করার কোনো সম্ভবনা নেই। আর যে ব্যক্তি হেদায়েতের নূর থেকে বঞ্চিত সে ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
‘জুমআর নামাজ ছেড়ে দেয়া ব্যক্তি হয় নিজের এ মারাত্মক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুক অথ্যাৎ জুমআর নামাজ আদায় করুক; অন্যথায় আল্লাহ তাআলা জুমআ পরিত্যাগকারীকে তার শাস্তি স্বরূপ অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যায়। এমনকি সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়ে যায়।’ (মুসলিম)

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ইচ্ছাকৃত জুমআ পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তি পুরোপুরি গোমরাহ করে দেন। হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন। (নাউজুবিল্লাহ) অন্য হাদিসে এসেছে-

জগৎ বিখ্যাত মুফাসসির হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পর পর তিন জুমআ পরিত্যাগ করলো, সে যেন ইসলামকেই পেছনের দিকে নিক্ষেপ করলো।’ (মুসলিম)

জুমআর নামাজকে মুমিন মুসলমানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হিসেবে তুলে ধরতে গিয়ে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ শ্রেণির লোককে জুমআ আদায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ ব্যক্তিরা ব্যতিত অন্যদের জন্য জুমআ পরিত্যাগ করা অনেক বড় গোনাহ। আর তারা হলো-
>> ক্রীতদাস।
>> স্ত্রী লোক।
>> অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক।
>> মুসাফির ও অসুস্থ মানুষ।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে জুমআ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআ পরিত্যাগকারীর গোনাহ থেকে মুক্ত করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে জুমআর নামাজ পরিত্যাগ করা যাবে না

আপডেট টাইম : ০৮:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  মুমিন মুসলমানের জন্য জুমআ নামাজ বিশেষ ইবাদত। জুমআর দিন ও জুমআর নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ দান করেন। যে নেয়ামত ও অনুগ্রহে বান্দার মর্যাদা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমআর নামাজ পড়া জরুরি।

যারা অলসতাবশত জুমআর নামাজ থেকে বিরত থাকে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদের জন্য রয়েছে মারাত্মক শাস্তির ঘোষণা। আর যারা জুমআর নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আগ্রহ না দেখিয়ে শুধু কাজ-কর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখে, আল্লাহ তাআলা সেসব বান্দার দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকান না।

জুমআর নামাজ না পড়লে তাদের শাস্তি ভয়াবহ। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি ঘোষণা করেন-
‘যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমআ কোনো কারণ ছাড়াই ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেন।’ (তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

যে ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহ তাআলা মোহর মেরে দেন, তার অন্তরে হেদায়েতের নূর প্রবেশ করার কোনো সম্ভবনা নেই। আর যে ব্যক্তি হেদায়েতের নূর থেকে বঞ্চিত সে ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
‘জুমআর নামাজ ছেড়ে দেয়া ব্যক্তি হয় নিজের এ মারাত্মক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুক অথ্যাৎ জুমআর নামাজ আদায় করুক; অন্যথায় আল্লাহ তাআলা জুমআ পরিত্যাগকারীকে তার শাস্তি স্বরূপ অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যায়। এমনকি সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়ে যায়।’ (মুসলিম)

হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ইচ্ছাকৃত জুমআ পরিত্যাগ করলে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তি পুরোপুরি গোমরাহ করে দেন। হেদায়েত থেকে বঞ্চিত করেন। (নাউজুবিল্লাহ) অন্য হাদিসে এসেছে-

জগৎ বিখ্যাত মুফাসসির হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পর পর তিন জুমআ পরিত্যাগ করলো, সে যেন ইসলামকেই পেছনের দিকে নিক্ষেপ করলো।’ (মুসলিম)

জুমআর নামাজকে মুমিন মুসলমানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হিসেবে তুলে ধরতে গিয়ে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪ শ্রেণির লোককে জুমআ আদায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ ব্যক্তিরা ব্যতিত অন্যদের জন্য জুমআ পরিত্যাগ করা অনেক বড় গোনাহ। আর তারা হলো-
>> ক্রীতদাস।
>> স্ত্রী লোক।
>> অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক।
>> মুসাফির ও অসুস্থ মানুষ।’ (আবু দাউদ)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে জুমআ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআ পরিত্যাগকারীর গোনাহ থেকে মুক্ত করুন। আমিন।