ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মিরাজের পবিত্র রাত পালন করেছেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভে এ রাতে নফল নামাজ, কোরআন তেলায়াত, তাসবিহ তাহলিল ও জিকির আসকার করেন মুসল্লিরা। পবিত্র শবে মিরাজ ১৪৪৬ হিজরী উদযাপন উপলক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ যোহর আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার আলমের সভাপতিত্বে সাভার সিটি সেন্টার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী প্রধান বক্তা হিসেবে বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনে আল্লাহর দিদার লাভ করেন। আল্লাহ শব-ই-মিরাজে নামাজ পড়ার জন্য নির্দেশনা দেন। দেশ জাতি, মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবু ইয়াহইয়া জাকারিয়া আল হুসাইনী।
ইসলাম ধর্মমতে যে রাতে আখেরি নবী মুহাম্মদের (সা.) বায়তুল্লাহ থেকে মসজিদুল আকসা হয়ে ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং আল্লাহর সঙ্গে স্বশরীরে সাক্ষাৎ করেছেন, এটি সেই রাত ছিল। ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী, হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বৎসরের রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা হতে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের উপর আরশে আজিমে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার দিদার লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি অবলোকন করেন সৃষ্টি জগতের সমস্ত কিছুর অপার রহস্য।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা হচ্ছে ‘মি’রাজ’। মিরাজ ইসলামের ইতিহাসে এমনকি পুরা নবুওয়াতের ইতিহাসেও এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। কারণ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যকোনো নবী এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। ইসলামে মিরাজের বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে, এই মিরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।