ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন ছাড়া সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক: গয়েশ্বর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৭ বার

সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া এই সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন যে সরকার আছে সেই সরকার থেকে আপনি কী আশা করেন? কারণ এই সরকার যে কী করতে চায় আমিও বুঝি না। আর তারা কী করতে চায় নিজেরা জানে কি না বা বুঝে কি না…। তারাও একটা গোলকধাঁধার মধ্যে পড়েছে। সংস্কার সংস্কার করতে করতে সব পরিস্কার হয়ে গেছে, কিন্তু রাষ্ট্র চলছে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনি বিভিন্ন ব্যবসা কেন্দ্রে যান, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যান, আপনাদের ফাইল আটকিয়ে রেখেছে। আবার যাদের বিল আটিকয়ে রেখেছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আমলে যারা কাজ করছে তাদের বিল কিন্তু ঘোরাচ্ছে না। পারচেইজ অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট যে নীতি আছে, তাতে আছে ৫ বছর বা ১০ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে- এই সময়ের অভিজ্ঞতা তো আওয়ামী লীগ আমলের। এ কারণে টেন্ডার কেনার ক্ষেত্রে নতুনরা প্রতিযোগিতার সুযোগ পাচ্ছে না। তাহলে সরকারই এসব দেখেও কী করছে? তারা আগের জিনিসই আগের জায়গায় রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকল। ওই সরকারের লোকজন লুটপাট, দুর্নীতি করেছে- এরাই যার যার জায়গায় এখনো বসে আছে। শ্রেণি স্বার্থেই তো সব দুর্নীতি এখনো চলমান আছে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগোচ্ছে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৭ বছর মানুষ কেন নিপীড়ন-নির্যাতন-গুম-খুন-মিথ্যা মামলায় পড়ল; কেন এত রক্ত দিলো? তার ভোটারাধিকার ও স্বাধিকার ফেরত পাওয়ার জন্য। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া এই সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক। এই নিয়ে জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস, বিভ্রান্তি, অনাস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনটা যে জরুরি এই বিষয়টা সরকারকে বুঝতে হবে। ’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়টা রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো। আর রাজনীতিবিদদের কারা ক্ষমতায় যাবে, সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে, তাদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। জনগণ কিন্তু জনসভা করে না, তারা মনে মনে এক হয়ে যায়।ওই গানের মতো ‘‘‘পাগল মন, মন কেনো এত কথা বলে, আশি তোলায় সের হইলে চল্লিশ সেরে মণ, মনে মনে এক মন না হইলে মিলবে না ওজন।’’ সুতরাং জনগণ কিন্তু ওজন মিলাইয়া ফালায়।’

স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ‘মাদক মুক্ত দেশ ও জাতি গঠনে করনীয়’ শীর্ষক এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামী প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নির্বাচন ছাড়া সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক: গয়েশ্বর

আপডেট টাইম : ০৬:১৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া এই সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এখন যে সরকার আছে সেই সরকার থেকে আপনি কী আশা করেন? কারণ এই সরকার যে কী করতে চায় আমিও বুঝি না। আর তারা কী করতে চায় নিজেরা জানে কি না বা বুঝে কি না…। তারাও একটা গোলকধাঁধার মধ্যে পড়েছে। সংস্কার সংস্কার করতে করতে সব পরিস্কার হয়ে গেছে, কিন্তু রাষ্ট্র চলছে না।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনি বিভিন্ন ব্যবসা কেন্দ্রে যান, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যান, আপনাদের ফাইল আটকিয়ে রেখেছে। আবার যাদের বিল আটিকয়ে রেখেছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের আমলে যারা কাজ করছে তাদের বিল কিন্তু ঘোরাচ্ছে না। পারচেইজ অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট যে নীতি আছে, তাতে আছে ৫ বছর বা ১০ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে- এই সময়ের অভিজ্ঞতা তো আওয়ামী লীগ আমলের। এ কারণে টেন্ডার কেনার ক্ষেত্রে নতুনরা প্রতিযোগিতার সুযোগ পাচ্ছে না। তাহলে সরকারই এসব দেখেও কী করছে? তারা আগের জিনিসই আগের জায়গায় রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকল। ওই সরকারের লোকজন লুটপাট, দুর্নীতি করেছে- এরাই যার যার জায়গায় এখনো বসে আছে। শ্রেণি স্বার্থেই তো সব দুর্নীতি এখনো চলমান আছে। বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বিষয়গুলো নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগোচ্ছে।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১৭ বছর মানুষ কেন নিপীড়ন-নির্যাতন-গুম-খুন-মিথ্যা মামলায় পড়ল; কেন এত রক্ত দিলো? তার ভোটারাধিকার ও স্বাধিকার ফেরত পাওয়ার জন্য। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা ছাড়া এই সরকারের অন্য কোনো দায়িত্বের প্রতি আগ্রহ সন্দেহজনক। এই নিয়ে জনগণের মধ্যে অবিশ্বাস, বিভ্রান্তি, অনাস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনটা যে জরুরি এই বিষয়টা সরকারকে বুঝতে হবে। ’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়টা রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো। আর রাজনীতিবিদদের কারা ক্ষমতায় যাবে, সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে, তাদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। জনগণ কিন্তু জনসভা করে না, তারা মনে মনে এক হয়ে যায়।ওই গানের মতো ‘‘‘পাগল মন, মন কেনো এত কথা বলে, আশি তোলায় সের হইলে চল্লিশ সেরে মণ, মনে মনে এক মন না হইলে মিলবে না ওজন।’’ সুতরাং জনগণ কিন্তু ওজন মিলাইয়া ফালায়।’

স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ‘মাদক মুক্ত দেশ ও জাতি গঠনে করনীয়’ শীর্ষক এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন। এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামী প্রমুখ।