রাজশাহীর গ্রুপপর্বের খেলা শেষ হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌঁড়ে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিলেন তাসকিন আহমেদ-এনামুল হক বিজয়রা। তখনও ২ ম্যাচ বাকি থাকা খুলনা টাইগার্সের পয়েন্ট ছিল মোটে ৮। অর্থাৎ, একটি ম্যাচে হোঁচট খেলেই নিশ্চিত হবে রাজশাহীর প্লে-অফ খেলা। তবে কোনো সমীকরণই নিজেদের পক্ষে গেল না তাসকিনদের। রংপুর রাইডার্সের পর আজ ঢাকা ক্যাপিটালসে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা।
সবার আগে প্লে-অফে ওঠা রংপুরের পর প্লে-অফে উঠেছে ফরচুন বরিশাল (প্রথম কোয়ালিফায়ারও নিশ্চিত হয়েছে) ও চিটাগং কিংস। আজ চতুর্থ দল হিসেবে খুলনার পরের পর্বে খেলা নিশ্চিত হলো। রাজশাহী আর খুলনার এখন সমান ১২ পয়েন্ট হলেও রান রেটে এগিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। আজ চিটাগং ও বরিশালের মধ্যকার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের বাকি দল কোনটি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ঢাকাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে খুলনা। প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১২৩ রানেই আটেকে যায় এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হওয়া ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখেই সহজ জয় নিশ্চিত করে খুলনা।
১২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা খুলনা ১৪ রানের মধ্যেই মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেনকে হারায়। তবে অ্যালেক্স রসকে নিয়ে জয়ের পথটা এরপর অনেকটাই মসৃণ করে তোলেন অধিনায়ক মিরাজ। দুজনে যোগ করেন ৬৮ রান। এরপর রস ফিরলেও উইলিয়াম বসিস্টোকে নিয়ে দলকে জয়ের একেবারে কাছে নিয়ে যান মিরাজ। ১২০ রানে রস ফেরেন। তবে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মিরাজ। ৫৫ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৫টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ৪টি ছক্কা।
এর আগে টস জিতে এদিন ঢাকাই প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয়। শুরুর ভাগে অবশ্য ব্যাটিংটা মন্দ করেনি তারা। প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ৫০ রান তুলে ফেলে তারা। এর মধ্যে আউট হন কেবল লিটন দাস (১০ বলে ১০)। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ৫৩ রানের মাথায় ওয়ান ডাউনে নামা হাবিবুর রহমান সোহানকে হারালেও ৮১ রান পর্যন্ত যায় আর কোনো উইকেট না হারিয়েই।
এরপর হঠাৎ এক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। খুলনার বোলারদের তোপে এক শ রান তোলার আগেই হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। একে একে ফিরে যান ফরমানুল্লাহ, তানজিদ, থিসারা পেরেরা, রিয়াজ হাসান ও রহমত আলী। ৩৭ বলে ১টি চার ও ৭ ছক্কায় ৫৮ রান করেন তানজিদ। পাঁচ নম্বরে নেমে সাব্বির ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস না খেললে শতরান পার করতেই সমস্যায় পড়ত ঢাকা। শেষদিকে মেহেদী হাসান রানা ১১ বলে ১৩ রান করলে ১২৩ রানে থামে ঢাকা।
খুলনার বোলিং আক্রমণ ছিল পুরোটাই দলগত। সাতজন বল করে সবাই উইকেট পেয়েছেন। এর মধ্যে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও উইলিয়াম বসিস্টো। সবার সেরা হাসান ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন। সমান ওভারে বসিস্টো দিয়েছেন ১০ রান। উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ, মিরাজ, মুশফিক হাসান, জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ নওয়াজও।