ঢাকা ০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধকি জমির ফসল নেওয়া জায়েজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৫০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রশ্নটির সমাধান দিয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা

প্রশ্ন : আমাদের গ্রামগঞ্জে কট-বন্ধকের খুব প্রচলন আছে। তবে নিয়ম হলো, জমিদাতা এক বিঘা জমি দেবে আর গ্রহীতা বিনিময়ে তাকে এক লাখ বা এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেবে। এখন গ্রহীতা তার জমি ওই সময় পর্যন্ত ভোগ করবে, যত দিন সে পূর্ণ টাকা ফেরত না দেবে। আর কিছু মানুষ হালাল করার জন্য বার্ষিক এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কর্তন করে। প্রশ্ন হলো, এমন পদ্ধতিতে জমি দেওয়া-নেওয়া বা ভক্ষণ করা জায়েজ আছে কি না? সঠিক উত্তরে বাধিত করবেন।     —আব্দুল মতিন, রাজশাহী।

উত্তর : কট-বন্ধকের প্রচলিত নিয়ম তথা কাউকে ঋণ দিয়ে বন্ধকস্বরূপ জমি রেখে তা থেকে ঋণদাতা উপকৃত হওয়া বৈধ নয়, বরং তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। প্রশ্নে উল্লিখিত হালাল করার যে পদ্ধতি তার বৈধতার জন্য শর্ত হলো জমির ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করে মালিককে দিতে হবে, নামমাত্র সামান্য ভাড়া দিয়ে হালাল করার চেষ্টা করলে তা হালাল হবে না। হ্যাঁ, দীর্ঘমেয়াদি ভাড়া চুক্তি হওয়ায় সাধারণ ভাড়ামূল্য থেকে তুলনামূলক কম নির্ধারণ করা জায়েজ হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৩/৩৩৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৩২)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বন্ধকি জমির ফসল নেওয়া জায়েজ

আপডেট টাইম : ০৯:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রশ্নটির সমাধান দিয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা

প্রশ্ন : আমাদের গ্রামগঞ্জে কট-বন্ধকের খুব প্রচলন আছে। তবে নিয়ম হলো, জমিদাতা এক বিঘা জমি দেবে আর গ্রহীতা বিনিময়ে তাকে এক লাখ বা এক লাখ ২০ হাজার টাকা দেবে। এখন গ্রহীতা তার জমি ওই সময় পর্যন্ত ভোগ করবে, যত দিন সে পূর্ণ টাকা ফেরত না দেবে। আর কিছু মানুষ হালাল করার জন্য বার্ষিক এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত কর্তন করে। প্রশ্ন হলো, এমন পদ্ধতিতে জমি দেওয়া-নেওয়া বা ভক্ষণ করা জায়েজ আছে কি না? সঠিক উত্তরে বাধিত করবেন।     —আব্দুল মতিন, রাজশাহী।

উত্তর : কট-বন্ধকের প্রচলিত নিয়ম তথা কাউকে ঋণ দিয়ে বন্ধকস্বরূপ জমি রেখে তা থেকে ঋণদাতা উপকৃত হওয়া বৈধ নয়, বরং তা সুদের অন্তর্ভুক্ত হবে। প্রশ্নে উল্লিখিত হালাল করার যে পদ্ধতি তার বৈধতার জন্য শর্ত হলো জমির ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ করে মালিককে দিতে হবে, নামমাত্র সামান্য ভাড়া দিয়ে হালাল করার চেষ্টা করলে তা হালাল হবে না। হ্যাঁ, দীর্ঘমেয়াদি ভাড়া চুক্তি হওয়ায় সাধারণ ভাড়ামূল্য থেকে তুলনামূলক কম নির্ধারণ করা জায়েজ হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ১৫০৭১, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৩/৩৩৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/৩২)