ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের মর্তুজা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিনিয়র সাইবার সিকিউরিটি অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা মর্তুজা আজম। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সাইবার সিকিউরিটির প্রায় সব প্রযুক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা দিন দিন যখন হুমকির রূপ নিচ্ছে ঠিক তখনই ইঞ্জিনিয়ার এস এম গোলাম মর্তুজা আজম শুধুমাত্র ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সেই নয়, তিনি সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছেন ম্যানহাটান বোরো প্রেসিডেন্ট অফিস, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানি তথা ওয়ার্ল্ড এন্টারটেইনমেন্ট জায়ান্ট এনবিসি ইউনিভার্সালের মতো প্রতিষ্ঠানকে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় তিনি দেশের সাইবার নিরাপত্তার জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এক্সেস টু ইনফরমেশনের অ্যাডভাইজার, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে কনফারেন্স ও মিটিং অব্যাহত রেখেছেন।

মর্তুজা আজম বরিশালের বানারীপাড়া ইউনিয়নের আলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ বাড়িতে চার ভাই আর মা-বাবাকে নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন তিনি। বাবা শিক্ষকতা করতেন আর মা ছিলেন গৃহিণী। ১৯৯৬ সালের দুর্বৃত্তের নারকীয় হামলায় তার বাবা দুই হাতের সব আঙ্গুল চিরদিনের জন্য অকেজো হয়ে যায়। সে হামলা থেকে রেহয়া পায়নি মর্তুজা আজম, তার মা ও ভাই। এর পর থেকে আর সেই বাড়িতে ফিরে যায়নি কেউ। নানা বিপত্তি পেরিয়ে বড় হলেও ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে জঙ্গি হামলার শিকার হন মর্তুজা। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়গ্রহণ করেন ও কর্মজীবন শুরু করেন

তবে মর্তুজা আজম কর্মজীবনের শুরুতে বিএসআইটি ও বাংলাদেশ পুলিশের ইনফরমেশন টেকনোলজির ট্রেইনার ছিলেন, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক ও সংবাদপাঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের আবৃত্তিকার ও ডকুমেন্টারির ভয়েস আর্টিস্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ইন্টার্ন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশনের একজন সফল ইন্টার্ন ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে ইয়াং লিডার হিসেবে বক্তব্য দেন এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউনাইটেড স্টেটের সিনেটে বক্তব্যও দিন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশের মর্তুজা

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সিনিয়র সাইবার সিকিউরিটি অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা মর্তুজা আজম। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের সাইবার সিকিউরিটির প্রায় সব প্রযুক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে অটোমেটিক্যালি নিয়ন্ত্রণের মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা দিন দিন যখন হুমকির রূপ নিচ্ছে ঠিক তখনই ইঞ্জিনিয়ার এস এম গোলাম মর্তুজা আজম শুধুমাত্র ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সেই নয়, তিনি সাইবার নিরাপত্তা দিচ্ছেন ম্যানহাটান বোরো প্রেসিডেন্ট অফিস, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং কোম্পানি তথা ওয়ার্ল্ড এন্টারটেইনমেন্ট জায়ান্ট এনবিসি ইউনিভার্সালের মতো প্রতিষ্ঠানকে।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয় তিনি দেশের সাইবার নিরাপত্তার জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, এক্সেস টু ইনফরমেশনের অ্যাডভাইজার, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তির সঙ্গে কনফারেন্স ও মিটিং অব্যাহত রেখেছেন।

মর্তুজা আজম বরিশালের বানারীপাড়া ইউনিয়নের আলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ বাড়িতে চার ভাই আর মা-বাবাকে নিয়ে বেড়ে উঠছিলেন তিনি। বাবা শিক্ষকতা করতেন আর মা ছিলেন গৃহিণী। ১৯৯৬ সালের দুর্বৃত্তের নারকীয় হামলায় তার বাবা দুই হাতের সব আঙ্গুল চিরদিনের জন্য অকেজো হয়ে যায়। সে হামলা থেকে রেহয়া পায়নি মর্তুজা আজম, তার মা ও ভাই। এর পর থেকে আর সেই বাড়িতে ফিরে যায়নি কেউ। নানা বিপত্তি পেরিয়ে বড় হলেও ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে জঙ্গি হামলার শিকার হন মর্তুজা। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়গ্রহণ করেন ও কর্মজীবন শুরু করেন

তবে মর্তুজা আজম কর্মজীবনের শুরুতে বিএসআইটি ও বাংলাদেশ পুলিশের ইনফরমেশন টেকনোলজির ট্রেইনার ছিলেন, বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক ও সংবাদপাঠক, বাংলাদেশ টেলিভিশনের আবৃত্তিকার ও ডকুমেন্টারির ভয়েস আর্টিস্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার ইন্টার্ন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশনের একজন সফল ইন্টার্ন ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে ইয়াং লিডার হিসেবে বক্তব্য দেন এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউনাইটেড স্টেটের সিনেটে বক্তব্যও দিন তিনি।