হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল অনুষ্ঠানের পর ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কিশোরগঞ্জের কোনো রাজনৈতিক ঠাঁই না পাওয়ার পরও হাল ছাড়েনি কিশোরগঞ্জবাসী।
এবার তিন রাষ্ট্রপতির সন্তান বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের জ্যেষ্ঠপুত্র রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক এমপি, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এমপি , প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানপুত্র বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপিকে ঘিরে কিশোরগঞ্জবাসী শেষ চমকের স্বপ্ন তাদের।
অঘোষিত বাকি গুরুত্বপূর্ণ পদে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ঠাঁই দিবেন এমন আলোচনা সমালোচনা ও গুঞ্জন আওয়ামী লীগ অন্তপ্রাণ কিশোরগঞ্জবাসীর মুখে মুখে।
আর এজন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর বৈঠকের দিকে নজর কিশোরগঞ্জবাসীর।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০ বছরের ইতিহাসে ৬১ বছরই ত্যাগ-অবদান, আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিশেষ স্থানে অবস্থান ধরে রাখেন কিশোরগঞ্জের কৃতি সন্তান মুক্তিযু’দ্ধকালীন প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। এই দুই বরেণ্য রাজনীতিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দলের হয়ে অসামান্য অবদান রাখেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
এ মাটির সন্তানরা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, মুখপাত্র ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে আসীন থেকে বারবার দলের দুর্দিন-দুঃসময়ে কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব ও পরবর্তী সময় এমনকি ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের সময় দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ অন্তপ্রাণ রাজনীতিকগণের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনবিদিত।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম কাউন্সিলে দলের তদানীন্তন সাধারণ সম্পাদক শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠপুত্র কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ‘এটা কোন দল না, এটা আমার কাছে একটা অনুভূতির নাম’-
বক্তব্যই প্রমাণ করে কী পরিমাণ ভালবাসা, ত্যাগ ও অবদান থাকলে এ ধরনের উচ্চারণ সম্ভব। তা নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুভূতিতেও অম্লান হয়ে আছে বলে মনে করেন কিশোরগঞ্জবাসী।