ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওররে জন্ম নেওয়া স্যার ফজলে হাসান আবেদের যত স্বীকৃতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২৫৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫০ মিলিয়ন মানুষের কাছে ব্র্যাককে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন ও প্র্রত্যাশা ব্যক্ত  করেছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার সদ্য প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার স্বপ্ন ছিল, ব্র্যাক আগামীতে আরও বড় হবে, নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে এবং নতুন দিনের প্রয়োজনে নতুন সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসবে। অনেকেই তার কাছে ব্র্যাক মানে কী- এমন প্রশ্ন করেছিল। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ব্র্যাক শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, ব্র্যাক একটি স্বপ্ন, একটি প্রচেষ্টা। এটি এমন একটি পৃথিবীর প্রচেষ্টা, যেখানে সব মানুষ তার সম্ভাবনা বিকাশের সমান সুযোগ লাভ করবেন।

সেই স্বপ্ন দেখা সেই মানুষটি আর নেই। গতকাল রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষঃনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ফজলে হাসান আবেদ তার জীবনে অসংখ্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

সামাজিক উনয়নে অসামান্য ভূমিকার র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার, গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের ‘নোবেল’ বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কার, দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘নাইটহুড’ উপাধিসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েছেন।

ফজলে হাসান আবেদের যত স্বীকৃতি
র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৮০ (সামাজিক নেতৃত্বের জন্য)। ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)। এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)। ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)। দারিদ্র্য বিমোচন ও দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। শোয়াব ফাউন্ডেশন ‘সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার’ (২০০২)। গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)। জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)। সামাজিক উনয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ উনয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার। গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)। হেনরি আর ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)। প্র্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭)। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)।  ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮) দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ সালে ‘নাইটহুড’এ ভূষিত। এন্ট্রারপ্রেনিউর ফর দ্য ওযার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯)। ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১)। সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)। লিও তলস্তয়া আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)। ইয়াইদান প্ররস্কার (২০১৯)। এছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধিপ্র্রাপ্ত ব্যক্তি তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওররে জন্ম নেওয়া স্যার ফজলে হাসান আবেদের যত স্বীকৃতি

আপডেট টাইম : ১২:৫৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫০ মিলিয়ন মানুষের কাছে ব্র্যাককে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন ও প্র্রত্যাশা ব্যক্ত  করেছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার সদ্য প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ। তার স্বপ্ন ছিল, ব্র্যাক আগামীতে আরও বড় হবে, নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যাবে এবং নতুন দিনের প্রয়োজনে নতুন সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসবে। অনেকেই তার কাছে ব্র্যাক মানে কী- এমন প্রশ্ন করেছিল। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ব্র্যাক শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়, ব্র্যাক একটি স্বপ্ন, একটি প্রচেষ্টা। এটি এমন একটি পৃথিবীর প্রচেষ্টা, যেখানে সব মানুষ তার সম্ভাবনা বিকাশের সমান সুযোগ লাভ করবেন।

সেই স্বপ্ন দেখা সেই মানুষটি আর নেই। গতকাল রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষঃনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ফজলে হাসান আবেদ তার জীবনে অসংখ্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

সামাজিক উনয়নে অসামান্য ভূমিকার র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার, গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের ‘নোবেল’ বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কার, দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ‘নাইটহুড’ উপাধিসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি পেয়েছেন।

ফজলে হাসান আবেদের যত স্বীকৃতি
র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ১৯৮০ (সামাজিক নেতৃত্বের জন্য)। ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)। এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)। ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)। দারিদ্র্য বিমোচন ও দরিদ্র নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। শোয়াব ফাউন্ডেশন ‘সামাজিক উদ্যোক্তা পুরস্কার’ (২০০২)। গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)। জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)। সামাজিক উনয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ উনয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার। গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)। হেনরি আর ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)। প্র্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭)। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)।  ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮) দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ সালে ‘নাইটহুড’এ ভূষিত। এন্ট্রারপ্রেনিউর ফর দ্য ওযার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯)। ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১)। সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)। লিও তলস্তয়া আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)। বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)। ইয়াইদান প্ররস্কার (২০১৯)। এছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধিপ্র্রাপ্ত ব্যক্তি তিনি।