হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুর অঞ্চলে সোনালী ধানে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। এখন চলছে ধান কাটা, মাড়াই আর শুকানোর কাজ। আমন ধানে লাভবান হবার স্বপ্নে রঙ লেগেছে কৃষকের মনে। তবে দু’দফার বন্যার প্রভাবে অর্জিত হয়নি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। এবার রংপুর অঞ্চলে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০৪ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
এরমধ্যে রোপন করা হয়েছে ৬ লাখ ৮ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমি। যা শতকরা হিসেবে ৯৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে এবার আমন মৌসুমে স্থানীয়সহ হাইব্রিড ও উফশী ধান রোপন করেছে কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও দু’দফার বন্যার কারণে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তবে গত বছরের চেয়ে এবার ৪ হাজার ৯০২ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ বেড়েছে। এরমধ্যে ২ লাখ ১২ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমির ধান কর্তন করা হয়েছে।
রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাটে এবার আমন মৌসুমে স্থানীয়সহ হাইব্রিড ও উফশী ধান রোপন করেছে কৃষকরা। এরমধ্যে রংপুর জেলায় এক লাখ ৭৬ হাজার ৭৪১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও রোপন হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমি। গাইবান্ধায় লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে বেশি রোপন হয়েছে।
এ জেলায় এক লাখ ২৩ হাজার ৬৭ হেক্টর জমির রোপন লক্ষ্যমাত্রার জন্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রোপন হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমি। যা শতকরা ১০২ দশমিক ২১ শতাংশ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, এখনো পুরোপুরিভাবে আমনের কাটা মাড়াই শেষ হয়নি।
রংপুর অঞ্চলের উদ্যান বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পুরোপুরি অর্জন সম্ভব না হলেও উৎপাদন অনেক ভালো হয়েছে।