ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৎসজীবী লীগের প্রথম সম্মেলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাছে-ভাতে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী মৎসজীবী লীগের প্রথম সম্মেলন। আর এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে সংগঠনটি।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী মৎসজীবী লীগের ১ম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে নতুন মাত্রায় যুক্ত করা হচ্ছে। সংগঠনটি স্বীকৃতি দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। একইসঙ্গে নেতৃত্বে আসছেন কারা এই নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।

শেষ মুহুর্তে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় আছে যারা- সাবেক সভাপতি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কার্যকারি সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব লায়ন শেখ আজগর নস্কর, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, সাবেক সাংগঠনিক ফিরোজ খান, গিয়াস খান, মোহাম্মদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, খন্দকার আজিজুল হক হীরা, এস এম সিদ্দিকী মামুন।

শেখ আজগর নস্কর  বলেন, দুঃসময়ের সময় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে মৎস্যজীবী লীগের ব্যানারে আমরা রাজপথে ছিলাম। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের ও মামলার শিকার হয়েছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম  বলেন, মৎস্যজীবি লীগের আমরা চাই স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজ, ত্যাগি নেতা। সংগঠনকে আরো বেগবান করবে তাদের দরকার।

এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে বিতর্কিত দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন শেখ হাসিনা দলের ভেতর দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে ত্যাগী নেতারাই শেষ পর্যন্ত পুরস্কৃত হবে। মৎসজীবী লীগের নেতৃত্ব বাছাইয়েও আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজের অধিকারীদের গুরুত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংগঠনটির কয়েকজন নেতা।

মৎসজীবী লীগের সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে সংগঠনটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সারাদেশে মৎস্যজীবী লীগের ৭৭ টি সাংগঠনিক শাখা রয়েছে। এ সম্মেলনে ১৯২৫ জন কাউন্সিলর এবং ৮৫০০ জন ডেলিগেটর উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনকে সফল করতে ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মৎসজীবী লীগের প্রথম সম্মেলন

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাছে-ভাতে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী মৎসজীবী লীগের প্রথম সম্মেলন। আর এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে সংগঠনটি।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী মৎসজীবী লীগের ১ম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হিসেবে নতুন মাত্রায় যুক্ত করা হচ্ছে। সংগঠনটি স্বীকৃতি দেয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। একইসঙ্গে নেতৃত্বে আসছেন কারা এই নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন।

শেষ মুহুর্তে শীর্ষ দুই পদে আলোচনায় আছে যারা- সাবেক সভাপতি সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, কার্যকারি সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব লায়ন শেখ আজগর নস্কর, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার, যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ, সাবেক সাংগঠনিক ফিরোজ খান, গিয়াস খান, মোহাম্মদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, খন্দকার আজিজুল হক হীরা, এস এম সিদ্দিকী মামুন।

শেখ আজগর নস্কর  বলেন, দুঃসময়ের সময় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে মৎস্যজীবী লীগের ব্যানারে আমরা রাজপথে ছিলাম। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের ও মামলার শিকার হয়েছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম  বলেন, মৎস্যজীবি লীগের আমরা চাই স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজ, ত্যাগি নেতা। সংগঠনকে আরো বেগবান করবে তাদের দরকার।

এরইমধ্যে আওয়ামী লীগের কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে বিতর্কিত দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে। তাই মাঠ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন শেখ হাসিনা দলের ভেতর দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে ত্যাগী নেতারাই শেষ পর্যন্ত পুরস্কৃত হবে। মৎসজীবী লীগের নেতৃত্ব বাছাইয়েও আওয়ামী লীগ ক্লিন ইমেজের অধিকারীদের গুরুত্ব দেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংগঠনটির কয়েকজন নেতা।

মৎসজীবী লীগের সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে সংগঠনটির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সারাদেশে মৎস্যজীবী লীগের ৭৭ টি সাংগঠনিক শাখা রয়েছে। এ সম্মেলনে ১৯২৫ জন কাউন্সিলর এবং ৮৫০০ জন ডেলিগেটর উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনকে সফল করতে ১০টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।