ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআন মাজিদে চুমু দেয়া কি জায়েজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার সেই পবিত্র বাণী, যা রহমান ও রহিম খোদা অবতীর্ণ করেছেন। আর এটি এক পরিপূর্ণ এবং স্থায়ী শরিয়ত হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে এক নূর এবং উজ্জ্বল কিতাবও। এর মাধ্যমে আল্লাহ সেসব লোককে শান্তির পথে পরিচালিত করেন, যারা তার সন্তুষ্টির পথে চলে। আর তিনি নিজ আদেশে তাদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং সরল সুদৃঢ় পথে তাদের পরিচালিত করেন’ (সূরা মায়েদা : ১৫-১৬)।

পবিত্র কোরআন বিশ্ব মানবতার আলোর দিশারী। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সহিষ্ণুতার এক মূর্তিমান প্রতীক। তাই স্বাভাবিকভাবেই কোরআন শরিফকে মুসলমান মাত্রই ভক্তি ও আদবের সঙ্গে স্পর্ষ করে।

বিভিন্ন সময়ে কোরআন শরিফের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ হয়ে গেলে অথবা তিলাওয়াতের আগে-পরে স্বাভাবিকভাবে আমরা কোরআনে চুমু দিই, চোখে লাগাই। বিষয়টি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

এখানে মূলকথা হল, ভক্তি বা শ্রদ্ধার উদ্দেশ্যেই সাধারণত কোরআনে চুমু দেয়া হয়। এটি ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ ও ভক্তির একটি বহিঃপ্রকাশ। সে হিসেবে কোরআনুল কারিমে চুমু দেয়া জায়েজ আছে।

সাহাবাদের আমলেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত ইকরিমা (রা.) থেকে কোরআন মাজিদ চেহারায় লাগানো ও চুমু দেয়া প্রমাণিত (সুনানে দারিমি, হাদিস : ৩৩৫৩)। তাই কোরআনে চুমু দিলে তা না জায়েজ হবে না।

তবে অসতর্কতাবশত কোরআন মাজিদের সঙ্গে অসম্মানজনক কিছু হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে তাওবা-ইস্তিগফার করাই প্রথম কাজ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কোরআন মাজিদে চুমু দেয়া কি জায়েজ

আপডেট টাইম : ১১:২৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কোরআন মজিদ আল্লাহ তায়ালার সেই পবিত্র বাণী, যা রহমান ও রহিম খোদা অবতীর্ণ করেছেন। আর এটি এক পরিপূর্ণ এবং স্থায়ী শরিয়ত হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে এক নূর এবং উজ্জ্বল কিতাবও। এর মাধ্যমে আল্লাহ সেসব লোককে শান্তির পথে পরিচালিত করেন, যারা তার সন্তুষ্টির পথে চলে। আর তিনি নিজ আদেশে তাদের অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান এবং সরল সুদৃঢ় পথে তাদের পরিচালিত করেন’ (সূরা মায়েদা : ১৫-১৬)।

পবিত্র কোরআন বিশ্ব মানবতার আলোর দিশারী। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় সৌহার্দ্য ও সহিষ্ণুতার এক মূর্তিমান প্রতীক। তাই স্বাভাবিকভাবেই কোরআন শরিফকে মুসলমান মাত্রই ভক্তি ও আদবের সঙ্গে স্পর্ষ করে।

বিভিন্ন সময়ে কোরআন শরিফের সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ হয়ে গেলে অথবা তিলাওয়াতের আগে-পরে স্বাভাবিকভাবে আমরা কোরআনে চুমু দিই, চোখে লাগাই। বিষয়টি কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

এখানে মূলকথা হল, ভক্তি বা শ্রদ্ধার উদ্দেশ্যেই সাধারণত কোরআনে চুমু দেয়া হয়। এটি ধর্মপ্রাণ মানুষের আবেগ ও ভক্তির একটি বহিঃপ্রকাশ। সে হিসেবে কোরআনুল কারিমে চুমু দেয়া জায়েজ আছে।

সাহাবাদের আমলেও এর প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত ইকরিমা (রা.) থেকে কোরআন মাজিদ চেহারায় লাগানো ও চুমু দেয়া প্রমাণিত (সুনানে দারিমি, হাদিস : ৩৩৫৩)। তাই কোরআনে চুমু দিলে তা না জায়েজ হবে না।

তবে অসতর্কতাবশত কোরআন মাজিদের সঙ্গে অসম্মানজনক কিছু হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে তাওবা-ইস্তিগফার করাই প্রথম কাজ।