মাত্র ১০ মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন। ইমরান খানের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহাম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনি নাকি বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন ইমরান খানকে। তখন মুখ না খুললেও, সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাকে নাকি হুকুম করা হয়েছিল বাড়ির বাইরে পা না রাখতে। ঘরে থেকে শুধুমাত্র রুটি বানাতে বলা হয়েছিল আমাকে।’
২০০৪ সালে জেমাইমা খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ইমরান খানের। এরপর ২০১৩ সালে রেহাম খানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ইমরান। ২০১৩ সালে বিবিসি-র সাংবাদিকতা ছেড়ে পাকিস্তানে এসে বসবাস শুরু করেন রেহাম। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘আমি ইমরানকে বিয়ে করেছিলাম, কারণ আমার মনে হয়েছিল, তিনি আমাকে ভালোবাসেন। মনে হয়েছিল জীবনে একা হয়ে পড়েছেন ইমরান।
তাঁর সঙ্গে মিশে মনে হয়েছিল আমাদের চিন্তাভাবনা, জীবনের লক্ষ্য একই। কিন্তু পরে আমার সেই ভুল ভাঙে। ইমরান রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না। কিন্তু ঈশ্বর জানেন আমি চেষ্টা করেছিলাম।’
রেহামের মতে, তাঁর জীবনে অশান্তির সূত্রপাত হয় পথশিশুদের প্রতিনিধি হওয়ার পর থেকেই। তাঁকে কোনোভাবেই এই কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়াতে দেওয়া হয়নি। সব সময়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন ইমরান এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে যাই হোক না কেন, তিনি পাকিস্তানের পথ শিশুদের জন্যে আগামী দিনেও কাজ করবেন বলেই জানিয়েছেন। তা ছাড়া দুটি ছবি প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত তিনি।