ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁও হোটেলে ডাচ রানি, বাকি কর্মসূচি সেখানেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪১৭ বার

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন বা পিকেএসএফে বৈঠক শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফিরে গেছেন ডাচ রানি ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। সেখানেই তার দিনের বাকি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। রাত্রিযাপনও সেখানেই।

দুপুরে তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফে বৈঠক করেন। এর আগে, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রানিকে বহনকারী প্লেনটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা।

পিকেএসএফের আগে তিনি ঢাকার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি বৈঠকে অংশ নেন। বিকেলে পিকেএসএফের গোল টেবিল বৈঠকে শেষ করে ফিরে যান হোটেল সোনারগাঁওয়ে। সেখানে তিনি আরও একটি বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা যায়। এছাড়া সোমবার তার হোটেলের বাইরে কোনো কর্মসূচি নেই বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য অর্থনৈতিক সেবার সচেতনতা বাড়ানোই ডাচ রানির এ সফরের উদ্দেশ্য। সফরে রানি ম্যাক্সিমা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর বাইরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগী অংশীদারদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে গাজীপুরে সফরের কথাও রয়েছে রানির। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাজীপুর সফরের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।

এদিকে, রানির সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সপ্তাহখানেক আগ থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছে ডাচ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূতের সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। ওইদিন রাতেই ঢাকা ছাড়বেন ম্যাক্সিমা।

জানা যায়, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক হিসেবে রানি ম্যাক্সিমাকে ২০০৯ সালে নিয়োগ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

এর অাগে, গত ৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ম্যাক্সিমার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে রানি অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের প্রশংসা করেন।

ওই সসফরে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪টি চুক্তি সই হয়। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন ‘কাস্টহুউসে’ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর শিক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এসব চুক্তি সই হয়। তিন দিনের সরকারি সফর শেষে ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁও হোটেলে ডাচ রানি, বাকি কর্মসূচি সেখানেই

আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৫

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন বা পিকেএসএফে বৈঠক শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফিরে গেছেন ডাচ রানি ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। সেখানেই তার দিনের বাকি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। রাত্রিযাপনও সেখানেই।

দুপুরে তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফে বৈঠক করেন। এর আগে, সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রানিকে বহনকারী প্লেনটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা।

পিকেএসএফের আগে তিনি ঢাকার জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং সেখানে একটি বৈঠকে অংশ নেন। বিকেলে পিকেএসএফের গোল টেবিল বৈঠকে শেষ করে ফিরে যান হোটেল সোনারগাঁওয়ে। সেখানে তিনি আরও একটি বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা যায়। এছাড়া সোমবার তার হোটেলের বাইরে কোনো কর্মসূচি নেই বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার জন্য অর্থনৈতিক সেবার সচেতনতা বাড়ানোই ডাচ রানির এ সফরের উদ্দেশ্য। সফরে রানি ম্যাক্সিমা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর বাইরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সহযোগী অংশীদারদের সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা রয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার বাইরে গাজীপুরে সফরের কথাও রয়েছে রানির। তবে নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গাজীপুর সফরের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।

এদিকে, রানির সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সপ্তাহখানেক আগ থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছে ডাচ নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূতের সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। ওইদিন রাতেই ঢাকা ছাড়বেন ম্যাক্সিমা।

জানা যায়, উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক বিশেষ পরামর্শক হিসেবে রানি ম্যাক্সিমাকে ২০০৯ সালে নিয়োগ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

এর অাগে, গত ৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডস সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ম্যাক্সিমার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে রানি অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিস্ময়কর সাফল্যের প্রশংসা করেন।

ওই সসফরে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪টি চুক্তি সই হয়। ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন ‘কাস্টহুউসে’ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকের পর শিক্ষা ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার জন্য এসব চুক্তি সই হয়। তিন দিনের সরকারি সফর শেষে ৬ নভেম্বর দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।