ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বুধবার সকাল ৬টা থেকে টানা ৮ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর অবশেষে বেলা ২টায় অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর পর থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা সরে যেতে শুরু করলে শুরু হয় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর থেকেও শুরু হয় যান চলাচল। তবে টানা ৮ ঘণ্টা অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

সাইনবোর্ডে অবরোধকারীরা জানান, তারা তাদের দাবির প্রতি অবিচল। কিন্তু বুধবার মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের কারণে আপাতত সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারও অবরোধ করা হবে।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহন বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন রেখে অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই কর্মবিরতিতে সংহতি প্রকাশ করে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।

সরেজমিন চাষাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা চাষাড়া বাস টার্মিনালে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। কোনো বাস থাকায় অনেকেই বাসায় ফিরে যান। আর যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের কেউ ট্রেনের জন্য আবার কেউ হেঁটে রওনা হন কিংবা রিকশায়। সিএনজি অটোরিকশাও চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। শুধু প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়।

পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা গলায় ফাঁসি নিয়ে পরিবহন চালাব না। কারণ পরিবহন চালান একটি সেবা। আমরা মানুষকে সেবা দেয়। আর কেউ ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। তার পরও কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। আবার লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ বিভিন্ন কিছুর জন্য হাজার গুণ জরিমানা ধার্য করেছে। এগুলো কীভাবে পরিশোধ করব।

আমরা সারা মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারি না। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হলে গাড়িসহ সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করতে হবে। এভাবে গাড়ি চলানো সম্ভব নয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

আপডেট টাইম : ০৪:০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বুধবার সকাল ৬টা থেকে টানা ৮ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর অবশেষে বেলা ২টায় অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর পর থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা সরে যেতে শুরু করলে শুরু হয় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর থেকেও শুরু হয় যান চলাচল। তবে টানা ৮ ঘণ্টা অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

সাইনবোর্ডে অবরোধকারীরা জানান, তারা তাদের দাবির প্রতি অবিচল। কিন্তু বুধবার মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের কারণে আপাতত সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারও অবরোধ করা হবে।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহন বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন রেখে অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই কর্মবিরতিতে সংহতি প্রকাশ করে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।

সরেজমিন চাষাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা চাষাড়া বাস টার্মিনালে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। কোনো বাস থাকায় অনেকেই বাসায় ফিরে যান। আর যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের কেউ ট্রেনের জন্য আবার কেউ হেঁটে রওনা হন কিংবা রিকশায়। সিএনজি অটোরিকশাও চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। শুধু প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়।

পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা গলায় ফাঁসি নিয়ে পরিবহন চালাব না। কারণ পরিবহন চালান একটি সেবা। আমরা মানুষকে সেবা দেয়। আর কেউ ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। তার পরও কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। আবার লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ বিভিন্ন কিছুর জন্য হাজার গুণ জরিমানা ধার্য করেছে। এগুলো কীভাবে পরিশোধ করব।

আমরা সারা মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারি না। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হলে গাড়িসহ সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করতে হবে। এভাবে গাড়ি চলানো সম্ভব নয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।