ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে চালের ১০ দিন ধর্মঘটেও প্রভাব পড়বে না, গ্যারান্টি: খাদ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কেউ যদি কারসাজি না করে, তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই।

বুধবার সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল আছে, সেখানে পরিবহন ধর্মঘট যদি আট থেকে ১০ দিনও চলে তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।

‘কেউ যদি এমন পরিস্থিতিতে অনৈতিকভাবে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। তা সহ্যও করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

প্রয়োজন হলে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি, নিজেরাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো বলে হুশিয়ারি করেছেন মন্ত্রী।

তার মতে, যে মজুত আছে, সেখানে আমরা চাল আমদানি নয়, রফতানির চিন্তা করছি। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়াটা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আব্দুর রশিদ (মিনিকেট রশিদ) সভায় উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাবুবাজারে চালের যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র কারণ (দাম বাড়ার) নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা।

‌‘খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বেলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাজারে চালের ১০ দিন ধর্মঘটেও প্রভাব পড়বে না, গ্যারান্টি: খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, কেউ যদি কারসাজি না করে, তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই।

বুধবার সচিবালয়ে চাল ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, কৃষি, স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাজারে যে পরিমাণ চাল আছে, সেখানে পরিবহন ধর্মঘট যদি আট থেকে ১০ দিনও চলে তাতেও কোনও প্রভাব পড়বে না।

‘কেউ যদি এমন পরিস্থিতিতে অনৈতিকভাবে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না। তা সহ্যও করা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

প্রয়োজন হলে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলেছি, নিজেরাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো বলে হুশিয়ারি করেছেন মন্ত্রী।

তার মতে, যে মজুত আছে, সেখানে আমরা চাল আমদানি নয়, রফতানির চিন্তা করছি। এমন পরিস্থিতিতে চালের দাম বাড়াটা অযৌক্তিক ও অনৈতিক।

চাল ব্যবসায়ীদের পক্ষে মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি আব্দুর রশিদ (মিনিকেট রশিদ) সভায় উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাবুবাজারে চালের যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র কারণ (দাম বাড়ার) নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা।

‌‘খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বেলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।