বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ভোট ছাড়া আওয়ামী লীগ যে সরকারে এসেছে সেটা প্রমাণ করার জন্যই শেখ হাসিনা আমাদেরকে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আজকে দেখেন দেশের অবস্থা। যে পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা ছিল, সেটা আজকে ২০০ টাকা। আর প্রধানমন্ত্রী নাকি তার পরিবারে বলেছেন, ‘পেঁয়াজ দিয়ে তরকারি দরকার নেই’। আমাদের কথা হচ্ছে- ভোট ছাড়া যদি সরকার হয়, তাহলে পেঁয়াজ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে তরকারি খাওয়াবে। ভোট ছাড়া তারা সরকারে এসেছে সেটা প্রমাণ করার জন্যই শেখ হাসিনা আজকে আমাদেরকে পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা আছে দুর্নীতিবিরোধী, তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিয়ে গবেষণা করে। হালনাগাদ একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৮২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৮। যেখানে ভারত মাত্র ৭৮তম, আর পাকিস্তান আমাদের থেকে অনেক উপরে আছে, তাদের অবস্থান ১৫৩। এটা লজ্জার। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি কি পরিমাণ আজকে শুধু দেশেই না সারা বিশ্বে প্রমাণিত। সেই রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে চুনোপুটিদের ধরার একটি অপচেষ্টা করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ বুঝে ফেলেছে। আমরা যদি দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই, শুধু নামেই ঐক্য নয়, দেশের সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে নামতে হবে।
ইতিহাস বিকৃত করে জিয়াউর রহমানকে বাদ দেয়া যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইতিহাস যতই বিকৃত করুক না কেন, যখন ইতিহাস প্রকৃতপক্ষে লেখা হবে, তখন জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লেখা সম্ভব হবে না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর আওয়ামী লীগ নেত্রীর রাগের কারণে তিনি এখন কারাগারে। কোনও মামলার জন্য নয়, গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ডাকাতি করার জন্য খালেদা জিয়া আজকে কারাগারে। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই, এমন অবস্থা যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এই পচন থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। কাজেই আমাদের প্রেসক্লাবের ভিতরে, রাস্তায় সবক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তফিজুর রহমান ইরান, এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী মো আবু তাহের প্রমূখ।