মিশর ও তুরস্ক থেকে কয়েক দিনের মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। টিসিবি ট্রাকে করে তা বিক্রি করবে। এতে পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে একাদশ সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি আরো বলেন, ভারতের মাত্র একটি রাজ্যে ছাড়া গোটা ভারতে পেঁয়াজ একশ’ রূপি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ভারতও পেঁয়াজ আমদানি করছে। এক্ষেতেও আমরা বসে নেই। মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি।
এসময় দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদার আসনে নিয়ে এসেছি।
আমি জানি দেশের কিছু লোকের এটা পছন্দ হয় না। একটি চক্র আছে যারা নানাভাবে একটা ঘটনা ঘটিয়ে দেশের বিরুদ্ধে একটা বদনাম করতে পারলেই বেশি খুশি হয়।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো একটি বড় প্রকল্প বন্ধ করার জন্য যারা বিদেশে তদ্বির করে বিশ্বব্যাংকের টাকা বন্ধ করে দেয়, তারা দেশের কতবড় শত্রু সেটা সবাইকে বিবেচনা করতে হবে।
ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই।
কুয়াশার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল দুর্ঘটনায় কিছু মানুষ মারা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আমরা আছি। উল্লাপাড়ায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু মানুষ আহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার পেছনে কোন চক্রান্ত বা দূরভিসন্ধি আছে কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কারণ দেশে একটা ঘটনা ঘটার পর পরই আরও ঘটনা ঘটে। এর পেছনেও কিছু আছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির আমলে রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা
শিক্ষকদের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর সবার যত বেতন বাড়িয়েছি, অন্য কোন সরকার কোনদিন বাড়াতে পারেনি।
শ্রমিক থেকে শুরু করে শিক্ষক পর্যন্ত সবার বেতন অনেকগুণ বাড়িয়েছি। আড়াই হাজারের মতো স্কুল-কলেজকে এমপিওভূক্ত করে দিয়েছি। শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়ানো হয়েছে, এখন বেতন কিন্তু অনেক বেশি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, একজন ভিসি নিয়োগ দিলেই তার বিরদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।
শিক্ষকরা তাদের স্বার্থের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করবে কেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা বন্ধ করে ছাত্রদের লেখাপড়া নষ্ট করা হচ্ছে।
অনেক কষ্ট করে আমরা সেশনজট বন্ধ করেছি। কিন্তু চক্রান্ত করে সেটা আবার সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে দিতে পারি না, আমরা দেব না।
আইনেই রয়েছে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তা প্রমাণ হবে। প্রমাণ করতে না পারলে অভিযোগকারীদেরও শাস্তির বিধান আছে। এক্ষেত্রেও আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।