প্রতিদিন দেশে মোবাইলে ১৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একদিন হয়তো দেশের মানুষ ব্যাংকে যাতায়াত ভুলে যাবেন। তিনি আরও বলেন, এখনও গুণগত মানের সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে না অপারেটরগুলো। তাই সব জায়গায় ঠিকভাবে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে ৫জি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
৫জি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পবিপ্লবের মহাসড়ক ৫জি। কেবল মোবাইল প্রযুক্তি হিসেবে নয়, এটি ব্যবহৃত হবে শিল্প ও ব্যবসা খাতে। এই মহাসড়কে কত ভাবে, কত পরিমাণ গাড়ি চলবে তার ভ্যালুকে মূল্যায়ন করবে বিটিআরসি। এ বিষয়ে গাইডলাইন ও রোডম্যাপ তৈরি করা হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তরটা আমাদের মতো পশ্চাৎপদ দেশের জন্য ৫জি অনিবার্য বিষয়। ৫জি ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে যেসব দেশে মানুষ কম, সেখানে যন্ত্র দিয়ে মানুষের কাজ করানো হবে। কিন্তু যেখানে মানুষ বেশি সেখানে কী হবে? এটা কি আমাদের জন্য অভিশাপ না আশীর্বাদ? এটা নির্ভর করবে সহজ, সাবলীল ও পরিকল্পিতভাবে এর ব্যবহারের ওপর।’
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সবার জন্য এক নয়। এটি উন্নত বিশ্বের জন্য যেমন, অনুন্নত বিশ্বের জন্য তেমন নয়। আমাদের মধ্যে যে আইওটি সম্ভাবনা, রোবটিকস চর্চা শুরু হয়েছে তা আশা জাগানিয়া।’
৫জি গরিবের ঘোড়া রোগ নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি না ৫জি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে। তবে জনগণ, ব্যবসা ও শিল্পে এই প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহারের বিষয়টি এখনও চিন্তা করা কঠিন।’
শিল্পবিপ্লবের চেয়ে মানব সভ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়তে কীভাবে ৫জি-কে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলেও মত দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বড় আকারের চেয়ে গ্রুপভিত্তিক আলোচনা ও পরামর্শ নিয়ে আমাদের ৫জি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।