ঢাকা ১০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জের লাল শাপলার বিল একটি অন্যতম সৌন্দর্য উপভোগের স্থান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
  • ২২৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলারই তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে রয়েছে লাল শাপলার বিকি বিল। একদিকে রামসার সাইট তাহিরপুরের টাংগুয়ার হাওর অপরদিকে মেঘালয়ের পাদদেশে সবুজ শ্যামলিমা পাহাড়ের নান্দনিক তৃণভূমি। ভ্রমণপিপাসু আগত দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য লাল শাপলার বিলটি স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি অন্যতম সৌন্দর্য উপভোগের স্থান হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। সুনামগঞ্জ থেকে বিশ্বম্ভরপুর হয়ে মিয়ারচর বাজারের সামনে যাদুকাটা হয়ে বাদাঘাট বাজার অতিক্রম করে ১০ মিনিট এগোলেই লাল শাপলার বিল।
আজ ১২ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার সকাল বেলা এ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা সহযোগে বিলটি পরিদর্শন করা হয়। উপস্থিত ভ্রমণপিপাসু জনগণের তাৎক্ষণিক অভিব্যক্তি বলে দেয় স্থানটি তাদের কাছে কত প্রিয়। মেঘালয়ের পাদদেশে হাওরের বুকে যেন এটি লাল সবুজের বাংলাদেশের একটি প্রতিচ্ছবি। বিকি বিলের অতি সন্নিকটে সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক গেজেটের মাধ্যমে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে লাওড়ের রাজা বিজয় সিংহের হলহলিয়া জমিদার বাড়ি। এটি ২০০০ বৎসরের অধিক পুরাতন স্মৃতিস্থাপনা। তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদী, বারেক টিলা, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় স্থান পনাতীর্থ, শাহ আরেফিনের মাজার, শিমুল বাগান, বিকি বিল, হলহলিয়া জমিদার বাড়ি, টেকেরঘাটের শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি লেক) এবং বিশাল জলরাশির রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য হতে পারে একটি পর্যটনের সার্কেল। ইতোমধ্যেই পর্যটন কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ সরকারের পর্যটন বান্ধব সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সার্বিক সমন্বয়ে এলাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, বাসস্থান সহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি আন্তঃবিভাগীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে লাল শাপলা বিলে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণাধীন থাকায় সাময়িক সমস্যা হলেও খুব শীঘ্রই আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে আগত পর্যটকদের জন্য এই এলাকাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হবে। পর্যটন সেবার মানোন্নয়নের সাথে এলাকার শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সাথে ভ্রমণপিপাসু জনগণকে স্থানটি পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জের লাল শাপলার বিল একটি অন্যতম সৌন্দর্য উপভোগের স্থান

আপডেট টাইম : ০৬:১১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলারই তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নে রয়েছে লাল শাপলার বিকি বিল। একদিকে রামসার সাইট তাহিরপুরের টাংগুয়ার হাওর অপরদিকে মেঘালয়ের পাদদেশে সবুজ শ্যামলিমা পাহাড়ের নান্দনিক তৃণভূমি। ভ্রমণপিপাসু আগত দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য লাল শাপলার বিলটি স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি অন্যতম সৌন্দর্য উপভোগের স্থান হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। সুনামগঞ্জ থেকে বিশ্বম্ভরপুর হয়ে মিয়ারচর বাজারের সামনে যাদুকাটা হয়ে বাদাঘাট বাজার অতিক্রম করে ১০ মিনিট এগোলেই লাল শাপলার বিল।
আজ ১২ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার সকাল বেলা এ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা সহযোগে বিলটি পরিদর্শন করা হয়। উপস্থিত ভ্রমণপিপাসু জনগণের তাৎক্ষণিক অভিব্যক্তি বলে দেয় স্থানটি তাদের কাছে কত প্রিয়। মেঘালয়ের পাদদেশে হাওরের বুকে যেন এটি লাল সবুজের বাংলাদেশের একটি প্রতিচ্ছবি। বিকি বিলের অতি সন্নিকটে সম্প্রতি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক গেজেটের মাধ্যমে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে লাওড়ের রাজা বিজয় সিংহের হলহলিয়া জমিদার বাড়ি। এটি ২০০০ বৎসরের অধিক পুরাতন স্মৃতিস্থাপনা। তাহিরপুর উপজেলার জাদুকাটা নদী, বারেক টিলা, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় স্থান পনাতীর্থ, শাহ আরেফিনের মাজার, শিমুল বাগান, বিকি বিল, হলহলিয়া জমিদার বাড়ি, টেকেরঘাটের শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি লেক) এবং বিশাল জলরাশির রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য হতে পারে একটি পর্যটনের সার্কেল। ইতোমধ্যেই পর্যটন কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সহ সরকারের পর্যটন বান্ধব সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সার্বিক সমন্বয়ে এলাকার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, বাসস্থান সহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি আন্তঃবিভাগীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে লাল শাপলা বিলে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণাধীন থাকায় সাময়িক সমস্যা হলেও খুব শীঘ্রই আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে আগত পর্যটকদের জন্য এই এলাকাটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত হবে। পর্যটন সেবার মানোন্নয়নের সাথে এলাকার শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সাথে ভ্রমণপিপাসু জনগণকে স্থানটি পরিদর্শনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।