ঢাকা ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবার নামে সেতু উদ্বোধন করলেন পাপন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচরে কালী নদীর ওপর ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘জিল্লুর রহমান সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে বাবার নামে নির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন।

উদ্বোধনের পর দুই উপজেলার মিলন সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

ভৈরব উপজেলার মানিকদী এলাকায় সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কুলিয়ারচর গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মুছা মিয়া (সিআইপি), সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর আর্চায্য, ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ, ভৈরব সার্কেলের এএসপি রেজওয়ান দিপু, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আনিছুজ্জামান, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু প্রমুখ।

জেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ এ লক্ষে বর্তমান সরকার সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ভৈরব-কুলিয়ারচর এই দুই উপজেলাবাসীর কয়েক যুগের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কালী নদীর ওপর ৭১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে। সেই সঙ্গে দুই উপজেলার যোগসূত্র এই সেতুটি জাতীয় অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এই সেতুটি আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। ভৈরব-কুলিয়ারচর আমার নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকার মানুষ একটি সেতুর জন্য যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ ও কষ্টে ছিল। আজ সেতুটি উদ্বোধনের পর তাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন থেকে কালী নদী পার হতে আর কষ্ট করতে হবে না। বাবার স্বপ্নের কথা বিবেচনা করে এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে ‘জিল্লুর রহমান সেতু’। সেতুটি উদ্বোধন করতে পেরে আমিও আজ আনন্দিত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাবার নামে সেতু উদ্বোধন করলেন পাপন

আপডেট টাইম : ০২:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ভৈরব-কুলিয়ারচরে কালী নদীর ওপর ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ‘জিল্লুর রহমান সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে বাবার নামে নির্মিত সেতুটি উদ্বোধন করেন বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন।

উদ্বোধনের পর দুই উপজেলার মিলন সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

ভৈরব উপজেলার মানিকদী এলাকায় সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কুলিয়ারচর গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মুছা মিয়া (সিআইপি), সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর আর্চায্য, ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সায়দুল্লাহ মিয়া, কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ, ভৈরব সার্কেলের এএসপি রেজওয়ান দিপু, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আনিছুজ্জামান, ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু প্রমুখ।

জেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ এ লক্ষে বর্তমান সরকার সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ভৈরব-কুলিয়ারচর এই দুই উপজেলাবাসীর কয়েক যুগের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কালী নদীর ওপর ৭১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫২০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুটি নির্মাণের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতিসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়বে। সেই সঙ্গে দুই উপজেলার যোগসূত্র এই সেতুটি জাতীয় অর্থনীতিতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এই সেতুটি আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। ভৈরব-কুলিয়ারচর আমার নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকার মানুষ একটি সেতুর জন্য যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ ও কষ্টে ছিল। আজ সেতুটি উদ্বোধনের পর তাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন থেকে কালী নদী পার হতে আর কষ্ট করতে হবে না। বাবার স্বপ্নের কথা বিবেচনা করে এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে ‘জিল্লুর রহমান সেতু’। সেতুটি উদ্বোধন করতে পেরে আমিও আজ আনন্দিত।