ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ওয়ানস্টপ কার সার্ভিসিং চালু করলো ‘বাহন’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আন্তর্জাতিক বিশ্বে গাড়ি শুধুমাত্র শখের বস্তু বা প্রয়োজন নয়; অনেকের জন্য গাড়ি যেন উন্মাদনা। সেখানে চলে ভিন্টেজ গাড়ি ক্রয়ের উন্মাদনা, গাড়ি রিমডেলিং। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে এবং আপগ্রেডেড করে দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজারো ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেমন রয়েছে টাটা মোটর সার্ভিসেস। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে আমেরিকাস বেস্ট অটোমোটিভ। জাপানে মিতসুবিসি কার সেন্টার। সে প্রেক্ষাপট থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওয়ানস্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। আর সেসব সেন্টারে কার রিপেয়ারিং এর খরচ বলা চলে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে।

তাই বলে কি নগরীতে গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে? না, গাড়ির সংখ্যা কিন্তু মোটেও কমেনি। পাবলিক পরিবহন ছাড়াও এখানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই যানবাহনের ভিড়ে মানুষ কতটা নিরাপদ? তা বলার আগে চলুন জেনে নিই কিছু ক্ষুদ্র পরিসংখ্যান। সম্প্রতি ২১ সেপ্টেম্বর দেশে উদযাপিত হয়েছিল বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস। সেদিন নগরীর প্রেসক্লাবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কিছু তথ্য প্রকাশ করে।

সেখানে তারা জানায়, রাজধানীর রাস্তায় প্রতিদিন নামছে ৪০টির অধিক গাড়ি। ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে শুধু ঢাকা শহরেই। রাজধানীর রাস্তাতেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়, দেশের প্রতিটি অংশে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি রিকন্ডিশন্ড বা পুনঃব্যবহৃত হচ্ছে। কোন কোন গাড়ি ৫ বছরের অধিক সময় জুড়ে ব্যবহৃত। এসব গাড়ির যদি সঠিক সার্ভিসিং না করানো হয় তবে যে কোন সময় ঘটতে পারে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টারে সাধারণত যে সকল সেবা দেয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে- কনভার্সন, ইঞ্জিন চেঞ্জ, ডেন্টিং-পেন্টিং, ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিন, এয়ার কন্ডিশনিং, ক্লাচ রিপেয়ার, কুলেন্ট সার্ভিস, অ্যাক্সহস্ট সিস্টেম, ফুয়েল ইনজেকশন, লাইট রিপ্লেসমেন্ট, ভেহিকেল ফ্লুইডস, হুইল অ্যালাইনমেন্ট, ব্রেক সিস্টেম, চেসিস, কম্পিউটার ডায়াগনস্টিক, ইলেক্ট্রনিক টেস্টিং, অয়েল চেঞ্জ অ্যান্ড লুব, কার ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট, ট্রান্সমিশন ফ্লাশ, টিউন আপস, ভেহিকেল মেইন্টেনেন্স ইত্যাদি।

বৈশ্বিক সেবার অংশ হিসেবে এবার বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ কার সার্ভিস সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে ‘বাহন’। অভিজ্ঞ মানুষ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেবা এবং প্রতিটি সেবার খরচ মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার সুবিধাও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে অভিজ্ঞ গাড়ি সুরক্ষা সেবা পৌঁছে দেয়াই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।

বাহনের সেবা সমূহ

বাহন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিশ্বমানের ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার। এরই অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ৬৪টি জেলায় তাদের সার্ভিসিং সুবিধা চালু করেছে। বর্তমানে বাহনের সেবার আওতায় রয়েছে- এলপিজি কনভার্সন, ডেন্টিং পেইন্টিং, ইঞ্জিন চেঞ্জ, এসি সার্ভিস, ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিনসহ আরও নানাবিধ সুবিধা।

এলপিজি কনভার্সন

পরিবেশবান্ধব জ্বালানী হিসেবে অটো এলপিজি এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। অটো এলপিজি হচ্ছে প্রোপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণে তৈরি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস যাকে গ্রীনফুয়েলও বলা হয়।

এলপিজি ব্যবহারের সুবিধা

সিএনজি এবং এলপিজি গাড়ির মধ্যে বড় একটি পার্থক্য হচ্ছে ট্যাংকের চাপ। সিএনজির সিলিন্ডারে এলপিজি সিলিন্ডারের চেয়ে ২৬ গুণেরও বেশি প্রেশার থাকে; সিএনজি ২০ থেকে ২৫ এমপিএ পর্যন্ত চাপ নেয়, সেখানে এলপিজির চাপ ২ এমপি-এর কম। এর মানে উচ্চ চাপ সিএনজি ট্যাংকগুলো এলপিজি ট্যাংকের তুলনায় ভারী এবং বেশি ব্যয়বহুল। আর গাড়ীর সাসপেন্সনকে তা ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাধারণত সিএনজি সিলিন্ডার স্থাপন করে গাড়ির বুটের স্থান শেষ হয়ে যায়, কারণ অধিক জ্বালানী ব্যবহার বা সঞ্চয়ের জন্য বড় ট্যাংকের প্রয়োজন। অপরদিকে এলপিজি ট্যাংক কম স্থান দখল করে অধিক সুবিধা প্রদান করে।

একই কিলোমিটার যাত্রায় জ্বালানী বিলের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সঞ্চয় করে। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমায়। সিএনজির তুলনায় কিট ও সিলিন্ডার কম ব্যয়বহুল। ইঞ্জিন ও লুব্রিকেন্টের লাইফটাইম বৃদ্ধি করে। বারবার রিফুয়েলিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না। বাহন অরিজিনাল ইটালিয়ান কিট ও কিস্তি সুবিধায় এলপিজি কনভার্সনের কাজ করছে।

ডেন্টিং ও পেইন্টিং

দীর্ঘকালীন রোদে, ঝড়, বৃষ্টিতে ব্যবহৃত গাড়ি রঙের ঔজ্জ্বল্য হারায়। আবার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় গাড়ির বডিতে পড়ে আঘাতের চিহ্ন, বডি ট্যাপ, রঙের চল্টা উঠা বা স্ক্র্যাচ। অভিজ্ঞ হাতে ও দক্ষ পরিচর্যায় এই সকল সমস্যার সমাধান করছে বাহনের ডেন্টিং ও পেইন্টিং সেবা।

ইঞ্জিন চেঞ্জ

ইঞ্জিন চেঞ্জ বলতে বুঝায় ইঞ্জিনের ইন্সটলেশন যা মূলত পূর্বে যেটি গাড়িতে ইন্সটল করা ছিল এবং পরবর্তীতে বদলানো ইঞ্জিনটির কার্যকারিতা যেন ম্যাচ করে। ইঞ্জিন পুরনো হলে সমস্যা হতেই পারে। তেল বেশি খরচ, হঠাৎ করে মাঝ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হওয়া, ইঞ্জিন স্টার্ট হতে না চাওয়া বা শব্দ করা, অল্পে অধিক গরম হয়ে যাওয়া এই সকল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাথা ব্যথার কারণ। বারবার গ্যারেজে গিয়ে কাজ করানোর চেয়ে একেবারে ইঞ্জিন বদলে ফেলাই সহজ সমাধান। যদিও ইঞ্জিন চেঞ্জ অনেক খরচ সাপেক্ষ, কিন্তু বাহন দিচ্ছে কিস্তিতে ইঞ্জিন চেঞ্জ করার অফার।

এসি সার্ভিস

একটি গাড়ির এসি সিস্টেমে পাঁচটি প্রধান অংশ থাকে যা সমস্ত গ্রীষ্মে শীতল করার জন্য এবং শীতকালে শুষ্ক ও উষ্ণ রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করে। এই প্রধান অংশগুলো হলো- কমপ্রেসর, কনডেনসার, অ্যাকুমুলেটর, এক্সপ্যানশন ভাল্ভ ও ইভাপোরেটর। বাহন দিচ্ছে এসি মেরামতের সুবিধা ও বেস্ট পার্টসের নিশ্চয়তা।

ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিন

ঝকঝকে তকতকে মসৃণ গাড়ি অনেকের কাছে যেন আভিজাত্যের প্রতীক। গাড়িকে করে দিতে নতুনের মত বাহন ব্যবহার করছে লেটেস্ট জেট ওয়াশ টেকনোলজি ও স্নো ফোম। যা গাড়ির কালার কোটকে নিরাপদ রাখে। গাড়ির পালিশকে করে উজ্জ্বল। বাহন ব্যবহার করছে ভ্যাকুয়াম স্টিম ক্লিনিং যা গাড়িকে রাখবে জীবাণুমুক্ত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে ওয়ানস্টপ কার সার্ভিসিং চালু করলো ‘বাহন’

আপডেট টাইম : ০৯:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আন্তর্জাতিক বিশ্বে গাড়ি শুধুমাত্র শখের বস্তু বা প্রয়োজন নয়; অনেকের জন্য গাড়ি যেন উন্মাদনা। সেখানে চলে ভিন্টেজ গাড়ি ক্রয়ের উন্মাদনা, গাড়ি রিমডেলিং। গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে এবং আপগ্রেডেড করে দিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাজারো ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেমন রয়েছে টাটা মোটর সার্ভিসেস। যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে আমেরিকাস বেস্ট অটোমোটিভ। জাপানে মিতসুবিসি কার সেন্টার। সে প্রেক্ষাপট থেকে চিন্তা করলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের ওয়ানস্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার রয়েছে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি। আর সেসব সেন্টারে কার রিপেয়ারিং এর খরচ বলা চলে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে।

তাই বলে কি নগরীতে গাড়ির সংখ্যা কমে গেছে? না, গাড়ির সংখ্যা কিন্তু মোটেও কমেনি। পাবলিক পরিবহন ছাড়াও এখানে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই যানবাহনের ভিড়ে মানুষ কতটা নিরাপদ? তা বলার আগে চলুন জেনে নিই কিছু ক্ষুদ্র পরিসংখ্যান। সম্প্রতি ২১ সেপ্টেম্বর দেশে উদযাপিত হয়েছিল বিশ্ব গাড়িমুক্ত দিবস। সেদিন নগরীর প্রেসক্লাবে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ কিছু তথ্য প্রকাশ করে।

সেখানে তারা জানায়, রাজধানীর রাস্তায় প্রতিদিন নামছে ৪০টির অধিক গাড়ি। ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করছে শুধু ঢাকা শহরেই। রাজধানীর রাস্তাতেই শুধু সীমাবদ্ধ নয়, দেশের প্রতিটি অংশে ব্যবহৃত বেশিরভাগ ব্যক্তিগত গাড়ি রিকন্ডিশন্ড বা পুনঃব্যবহৃত হচ্ছে। কোন কোন গাড়ি ৫ বছরের অধিক সময় জুড়ে ব্যবহৃত। এসব গাড়ির যদি সঠিক সার্ভিসিং না করানো হয় তবে যে কোন সময় ঘটতে পারে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টারে সাধারণত যে সকল সেবা দেয়া হয় তার মধ্যে রয়েছে- কনভার্সন, ইঞ্জিন চেঞ্জ, ডেন্টিং-পেন্টিং, ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিন, এয়ার কন্ডিশনিং, ক্লাচ রিপেয়ার, কুলেন্ট সার্ভিস, অ্যাক্সহস্ট সিস্টেম, ফুয়েল ইনজেকশন, লাইট রিপ্লেসমেন্ট, ভেহিকেল ফ্লুইডস, হুইল অ্যালাইনমেন্ট, ব্রেক সিস্টেম, চেসিস, কম্পিউটার ডায়াগনস্টিক, ইলেক্ট্রনিক টেস্টিং, অয়েল চেঞ্জ অ্যান্ড লুব, কার ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট, ট্রান্সমিশন ফ্লাশ, টিউন আপস, ভেহিকেল মেইন্টেনেন্স ইত্যাদি।

বৈশ্বিক সেবার অংশ হিসেবে এবার বাংলাদেশে ওয়ান স্টপ কার সার্ভিস সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে ‘বাহন’। অভিজ্ঞ মানুষ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেবা এবং প্রতিটি সেবার খরচ মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার সুবিধাও দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। উচ্চবিত্তদের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে অভিজ্ঞ গাড়ি সুরক্ষা সেবা পৌঁছে দেয়াই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য।

বাহনের সেবা সমূহ

বাহন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিশ্বমানের ওয়ান স্টপ কার সার্ভিসিং সেন্টার। এরই অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ৬৪টি জেলায় তাদের সার্ভিসিং সুবিধা চালু করেছে। বর্তমানে বাহনের সেবার আওতায় রয়েছে- এলপিজি কনভার্সন, ডেন্টিং পেইন্টিং, ইঞ্জিন চেঞ্জ, এসি সার্ভিস, ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিনসহ আরও নানাবিধ সুবিধা।

এলপিজি কনভার্সন

পরিবেশবান্ধব জ্বালানী হিসেবে অটো এলপিজি এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। অটো এলপিজি হচ্ছে প্রোপেন ও বিউটেনের সংমিশ্রণে তৈরি তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস যাকে গ্রীনফুয়েলও বলা হয়।

এলপিজি ব্যবহারের সুবিধা

সিএনজি এবং এলপিজি গাড়ির মধ্যে বড় একটি পার্থক্য হচ্ছে ট্যাংকের চাপ। সিএনজির সিলিন্ডারে এলপিজি সিলিন্ডারের চেয়ে ২৬ গুণেরও বেশি প্রেশার থাকে; সিএনজি ২০ থেকে ২৫ এমপিএ পর্যন্ত চাপ নেয়, সেখানে এলপিজির চাপ ২ এমপি-এর কম। এর মানে উচ্চ চাপ সিএনজি ট্যাংকগুলো এলপিজি ট্যাংকের তুলনায় ভারী এবং বেশি ব্যয়বহুল। আর গাড়ীর সাসপেন্সনকে তা ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাধারণত সিএনজি সিলিন্ডার স্থাপন করে গাড়ির বুটের স্থান শেষ হয়ে যায়, কারণ অধিক জ্বালানী ব্যবহার বা সঞ্চয়ের জন্য বড় ট্যাংকের প্রয়োজন। অপরদিকে এলপিজি ট্যাংক কম স্থান দখল করে অধিক সুবিধা প্রদান করে।

একই কিলোমিটার যাত্রায় জ্বালানী বিলের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সঞ্চয় করে। রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমায়। সিএনজির তুলনায় কিট ও সিলিন্ডার কম ব্যয়বহুল। ইঞ্জিন ও লুব্রিকেন্টের লাইফটাইম বৃদ্ধি করে। বারবার রিফুয়েলিংয়ের প্রয়োজন পড়ে না। বাহন অরিজিনাল ইটালিয়ান কিট ও কিস্তি সুবিধায় এলপিজি কনভার্সনের কাজ করছে।

ডেন্টিং ও পেইন্টিং

দীর্ঘকালীন রোদে, ঝড়, বৃষ্টিতে ব্যবহৃত গাড়ি রঙের ঔজ্জ্বল্য হারায়। আবার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় গাড়ির বডিতে পড়ে আঘাতের চিহ্ন, বডি ট্যাপ, রঙের চল্টা উঠা বা স্ক্র্যাচ। অভিজ্ঞ হাতে ও দক্ষ পরিচর্যায় এই সকল সমস্যার সমাধান করছে বাহনের ডেন্টিং ও পেইন্টিং সেবা।

ইঞ্জিন চেঞ্জ

ইঞ্জিন চেঞ্জ বলতে বুঝায় ইঞ্জিনের ইন্সটলেশন যা মূলত পূর্বে যেটি গাড়িতে ইন্সটল করা ছিল এবং পরবর্তীতে বদলানো ইঞ্জিনটির কার্যকারিতা যেন ম্যাচ করে। ইঞ্জিন পুরনো হলে সমস্যা হতেই পারে। তেল বেশি খরচ, হঠাৎ করে মাঝ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হওয়া, ইঞ্জিন স্টার্ট হতে না চাওয়া বা শব্দ করা, অল্পে অধিক গরম হয়ে যাওয়া এই সকল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মাথা ব্যথার কারণ। বারবার গ্যারেজে গিয়ে কাজ করানোর চেয়ে একেবারে ইঞ্জিন বদলে ফেলাই সহজ সমাধান। যদিও ইঞ্জিন চেঞ্জ অনেক খরচ সাপেক্ষ, কিন্তু বাহন দিচ্ছে কিস্তিতে ইঞ্জিন চেঞ্জ করার অফার।

এসি সার্ভিস

একটি গাড়ির এসি সিস্টেমে পাঁচটি প্রধান অংশ থাকে যা সমস্ত গ্রীষ্মে শীতল করার জন্য এবং শীতকালে শুষ্ক ও উষ্ণ রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করে। এই প্রধান অংশগুলো হলো- কমপ্রেসর, কনডেনসার, অ্যাকুমুলেটর, এক্সপ্যানশন ভাল্ভ ও ইভাপোরেটর। বাহন দিচ্ছে এসি মেরামতের সুবিধা ও বেস্ট পার্টসের নিশ্চয়তা।

ইন্টেরিয়র-এক্সটেরিয়র ক্লিন

ঝকঝকে তকতকে মসৃণ গাড়ি অনেকের কাছে যেন আভিজাত্যের প্রতীক। গাড়িকে করে দিতে নতুনের মত বাহন ব্যবহার করছে লেটেস্ট জেট ওয়াশ টেকনোলজি ও স্নো ফোম। যা গাড়ির কালার কোটকে নিরাপদ রাখে। গাড়ির পালিশকে করে উজ্জ্বল। বাহন ব্যবহার করছে ভ্যাকুয়াম স্টিম ক্লিনিং যা গাড়িকে রাখবে জীবাণুমুক্ত।