অভিনেত্রী সাদিয়াকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় এফডিসি প্রাঙ্গনে ধোলাইয়ের শিকার হলেন পরিচালক এমকে জামান। অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিচালক জামান সাদিয়াকে এক পর্যায়ে ছবি থেকে বাদ দেন।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সংবাদ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। সাদিয়া বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করলেও পরিচালক জামান এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ছবির কাহিনী নতুন হওয়ায় তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সাদিয়ার সঙ্গে বাজে আচরণের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
‘বিষাক্ত ইয়াবা’ সিনেমার দুই প্রযোজক আকাশ-রনি ও পরিচালক এম কে জামান।
সূত্র জানায়, আজ দুপুরে বিএফডিসিতে সহকারি পরিচালক নামে খ্যাত বিপ্লব শরীফ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পরিচালক এমকে জামানকে মারধর করেন। সাদিয়া আফরিনের অভিযোগের কারণে এমকে জামানকে ডাকা হয়েছিল পরিচালক সমিতিতে। কিন্তু পরিচালক সমিতিতে পৌঁছার আগেই এমকে জামানকে ধোলাই দেন বিপ্লব শরীফ।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, একজন নায়িকা আমাদের পরিচালকদের বিরুদ্ধে দুর্নাম রটিয়েছেন। নির্দোষ হওয়া সত্বেও কেন এমকে জামান তার প্রতিবাদ করেনি সেটি নিয়েই জামানের সঙ্গে বিপ্লব শরীফের সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তারা সামান্য বাক-বিতণ্ডা করেছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে গুলজার বলেন, আমাদের কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি, অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এর আগে সাদিয়া সাংবাদিকদের জানান, সিনেমার মহরত হওয়ার কিছুদিন পর এ সিনেমার প্রযোজক মঞ্জুরুল ইসলাম রনি ফোন করে আমাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেন। আমি বলেছি, আপনাদের এ ধরনের কন্ডিশন থাকলে আমাকে আগে জানাতেন। আমি কাজ করতাম না। এ সব কাজ আমি করতে পারব না। এরপর তিনি আমাকে বলেন, ঠিক আছে এটা না পারলে তুমি ১০ লাখ টাকা এ সিনেমায় ইনভেস্ট করো। এ দুইটার মধ্যে একটা তোমাকে করতে হবে। এ বিষয় নিয়ে সিনেমার পরিচালক এম কে জামান ও প্রযোজক সিরাজুল ইসলাম আকাশ আমাকে একই কথা বলেন। তারা আমার সিদ্ধান্ত জানার জন্য বার বার ফোন করেন। আমার কাছ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আমাকে জানিয়েছেন তারা নতুন নায়িকা নিবেন। শিল্পীসমিতিতে এ বিষয় নিয়ে বসার জন্য আমি তাদের বলেছি।