ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে : রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০১৫
  • ৪৮২ বার

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম। সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের কারণে সেনাবাহিনীর মানবিক কাজের জন্য এ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বেড়েছে।’

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল মাঠে আয়োজিত ৫ম আর্টিলারি কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নতুন নতুন গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও দূরপাল্লার কামান সংযোজন এবং কম্পিউটার বেইজড আধুনিক সরঞ্জামাদি গোলন্দাজ কেরের সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। গোলন্দাজ কোরের সদস্যরা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলাধূলায়ও অত্যন্ত সক্রিয়। দেশের প্রয়োজনে সর্বদা এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের জন্য আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে সেনাবাহিনী সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। আশা করি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ নির্ধারন করেছে সরকার। সে মোতাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামোতে আধুনিক যুদ্ধ উপকরন সংগ্রহ ও উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই গ্রহন করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কঠোর শৃঙ্খলা অনুসরণ করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি মাতৃভূমির কল্যাণে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে বলে আশা করছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১২:১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম। সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের কারণে সেনাবাহিনীর মানবিক কাজের জন্য এ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বেড়েছে।’

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল মাঠে আয়োজিত ৫ম আর্টিলারি কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নতুন নতুন গোলন্দাজ রেজিমেন্ট ও দূরপাল্লার কামান সংযোজন এবং কম্পিউটার বেইজড আধুনিক সরঞ্জামাদি গোলন্দাজ কেরের সক্ষমতাকে আরও সুসংহত করেছে। গোলন্দাজ কোরের সদস্যরা অপারেশন ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি খেলাধূলায়ও অত্যন্ত সক্রিয়। দেশের প্রয়োজনে সর্বদা এ বাহিনীর সদস্যরা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীনদের জন্য আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে সেনাবাহিনী সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসহায় জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। আশা করি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০ নির্ধারন করেছে সরকার। সে মোতাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সাংগঠনিক কাঠামোতে আধুনিক যুদ্ধ উপকরন সংগ্রহ ও উন্নত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই গ্রহন করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রশিক্ষণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সর্বোচ্চ মানের পেশাদারিত্ব অর্জনে প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও কৌশল সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কঠোর শৃঙ্খলা অনুসরণ করতে হবে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি মাতৃভূমির কল্যাণে সেনাবাহিনী কাজ করে যাবে বলে আশা করছি।’