হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাওরের রাজধানী নামে খ্যাত সুনামগঞ্জে বর্ষাকালে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হলো ইঞ্জিনচালিত নৌকা। বর্ষায় হাওরে হাওরে নীল পানির ঢেউ খেলা করে প্রকৃতির ডাকে। হাওরের সম্পদ ও সৌর্ন্দয্যে যেমন হাওরবাসী আনন্দিত তেমনি হাওরের বুকে ঘটা নৌ-দুর্ঘটনা নিয়ে শঙ্কিত হাওরবাসী। গত ১০ বছরে ৩১টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাওর বিশ্লেষক অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক চিত্ত্ব রঞ্জন তালুকদার বলেন, হাওর অঞ্চলে ৮০ দশকের পর থেকে ইঞ্জিল চালিত নৌকার প্রচলন হয়। এর আগে মানুষ সনাতন পদ্ধতিতে হাতে চালিত নৌকায় মানুষ যাতায়াত করতো। তখন দুর্ঘটনার হার কম ছিলো। কিন্তু এখন নৌ দুর্ঘটনা আশঙ্কাজন হারে বাড়ছে।
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, এক সময় হাওরে কান্দায় হিজল করচগাছ প্রচুর পরিমাণে ছিলো। ফলে হাওরে ঢেউ কম হতো।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মানুষ হিজল করচ বাগে আশ্রয় নিতে পারতো। তাই নৌ দুর্ঘটনা রোধে হাওরের কান্দায হিজল করচ রোপন ও নৌ পথে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর কথা বলেন এই নেতা।