আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আজ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, এসএম কামাল, রিয়াজুল কবির কাউসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েই অগ্রসর হচ্ছেন।
শুধু ঢাকার নেতাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, সারাদেশে যেখানেই অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়ম হবে, শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে সর্বত্রই একই নিয়মে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কার্যকর হবে।
তবে ছাত্রলীগ-যুবলীগে বহু ত্যাগী নেতা-কর্মী আছে, তারা অনেক ভাল কাজও করছে। এখানে দুর্নীতি, অনিময়, বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের আচরণে পার্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, ঠিক তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকও অনেকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে, দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে কারও কারও বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয়া হয়েছে, কারও কারও কনভিকশনও হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার সরকার প্রথম থেকেই জিরো টলারেন্স নিয়েই অপকর্ম, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে একই মনোভাব প্রদর্শন করছে। এটা শুধু মুখের কথা নয়, আমরা অ্যাকশনেই দেখাচ্ছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নিজ দলের লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তির ঘটনা বিএনপিতে নেই। অতীতে বিএনপির মত বড় দল ক্ষমতায় ছিল, কোন উদাহরণ নেই। তারা তাদের দলের কোন অপকর্ম, লুটপাট, দুর্নীতি, খুন এসব নিয়ে কোন অ্যাকশনে যায়নি। আজকে বর্তমান সরকারের এটা সবচেয়ে ভাল দিক। এই অ্যাকশনের কারণে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি হয়তো বিষোদগার করছে, কিন্তু তারা যে ব্যবস্থা নিতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সেই অ্যাকশন নিতে শুরু করেছে, বেগম খালেদা জিয়া যা পারেননি, সেটা শেখ হাসিনা করছেন। তিনি অপকর্মের ব্যাপারে নিজের দলের লোককেও ছাড় দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, গুটিকয়েক মানুষের জন্য গোটা পার্টি বদনামের ভাগীদার হবে না। এসব অপকর্ম করছে গুটিকয়েক লোক।
বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এটাকে বিচ্ছিন্ন বক্তব্য বলে মেনে নিতে পারছি না। কারণ বিএনপি নেতারা অতীতেও আমাদের নেত্রীকে হত্যা করা হবে, সরিয়ে দেওয়া হবে, বঙ্গবন্ধু যেই পথে গেছেন, শেখ হাসিনাও সেই পথে যাবেন, এ ধরনের বক্তব্য তারেক জিয়া থেকে বিএনপির অনেক নেতাই দিয়েছেন।